মাহিয়া মাহি। ছবি: সংগৃহীত।
বছর তিনেক আগে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে সংসার বেঁধেছিলেন। তিনটি বিবাহবার্ষিকী পেরোতেই ভাঙনের মুখে মাহিয়া-রাকিবের দাম্পত্য। কয়েক দিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন মাহি। খুব শীঘ্রই তাঁদের আইনি বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। স্বামী রাকিবের থেকে এখন আলাদা থাকছেন তিনি। মাঝেমাঝেই একা লাগছে অভিনেত্রীর। সমাজমাধ্যমে সেই অনুভূতির কথাও জানিয়েছেন তিনি। সম্পর্ক ভাঙলেও স্বামীকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করতে চান না মাহি। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আমার পেটের মধ্যে যদি বোমাও মারা হয়, মাথায় পিস্তলও ধরা হয়, তা হলেও রাকিবের ব্যাপারে খারাপ কিছু বলতে পারব না আমি। রাকিব সরকার আমার সাবেক স্বামী ছিলেন, আমার ভালবাসার মানুষ ছিলেন। তাঁকে ভালবেসেছি আমি। অল্প না, অনেক ভালবেসেছি। এ কারণে সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। কারণ, তিনি পছন্দ করতেন না। তবে তিনি নিজে মুখে সে কথা জানাননি। আমার মনে হয়েছে যে, সিনেমা পছন্দ নয় তাঁর। এ জন্য সিনেমা থেকে সরে গিয়েছিলাম।’’
সম্পর্ক না থাকলেও স্বামীকে মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব যে নয় তাঁর পক্ষে সেটা স্পষ্ট। মন থেকে ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাই ভাল থাকার জন্য আশ্রয় নিলেন অন্য এক জনের কাছে। কিছু দিন আগেই মাহি তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখেছিলেন, ‘‘একটা আস্থার জায়গা হলেই চলবে। একটা মানুষের মতো মানুষ হলেই চলবে। একটু খালি যত্ন নিলেই চলবে।’’ মাহির লেখা দেখে অনেকেরই মনে হয়েছিল, দ্বিতীয় সম্পর্ক ভাঙতে না ভাঙতেই নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
নতুন জীবন শুরু করছেন বটে মাহি। তবে ছেলে ফারিশকে সঙ্গে নিয়ে। দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন পথচলা শুরু নায়িকার। সঙ্গী শুধু খুদে সন্তান। ছেলেকে আঁকড়েই আনন্দে বাঁচতে চান বলে জানিয়েছেন মাহি। নায়িকার কথায়, ‘‘আমার ছেলে ফারিশ আমার কাছে আছে। তাই আমার আর আপাতত কাউকে দরকার নেই। তবে আমরা তো মানুষ, দিন শেষে একা একা লাগে। এই জন্য নিজের অনুভূতি ফেসবুকে লিখি। তার মানে এই নয় যে, আমি জীবনে কোনও সঙ্গী খুঁজছি।’’