বরফে মোড়া শৈলশহরে কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি: শ্রীময়ী চট্টরাজ।
বয়স মাত্র দু’মাস। এই বয়সেই হইহই করে পেলিং থেকে দার্জিলিং ঘুরে এল কৃষভি! কোনও কান্নাকাটি নেই। কোনও বায়নাও করেনি। বরং মা-বাবার সঙ্গে চুটিয়ে উপভোগ করেছে পুরো সফর। শৈলশহর থেকে ফিরেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। একটাই যা সমস্যা, একরত্তিকে নিয়ে বিমানে উঠতে পারেনি মল্লিক পরিবার। বদলে সপরিবার ট্রেনে সফর করেছেন তাঁরা।
শ্রীময়ী বললেন, “২৫ ডিসেম্বর শহরে প্রচন্ড ভিড়। উদ্যাপনের উপায় নেই। তাই আমরা চলে গিয়েছিলাম পেলিং।” ওখানে শ্রীময়ীর কাকু থাকেন। তিনিই সব বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। অভিনেতা দম্পতির সফরসঙ্গী কাঞ্চনের দাদা, বৌদি আর শ্রীময়ীর মা। “আমার মায়ের কাছে মেয়ে ছিল। আমরা সবাই মিলে খুব হইহই করেছি”, বক্তব্য কাঞ্চন-ঘরনির। সারা দিন পাহাড়ের কোলেই কাটিয়েছেন। পাহাড়ে ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে। তার আগেই তাঁরা হোটেলে।
টয় ট্রেনের লাইন ধরে দিকশূন্যপুরে শ্রীময়ী? ছবি: শ্রীময়ী চট্টরাজ।
২৫ ডিসেম্বর স্মরণীয় করতে পাহাড়ি রাস্তায় কেক কেটেছেন। আফসোস, কৃষভিকে সামলাতে গিয়ে কাঞ্চনের শাশুড়ি সেই উদ্যাপনে যোগ দিতে পারেননি। শৈলশহরে ভ্রমণ। রাস্তায় না বেরোলে কী হবে, সাজগোজে খামতি ছিল না কৃষভির! হোটেলের ভিতরেই রকমারি রঙিন পশমি পোশাকে সেজেছিল সে। বরফে খেলা, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার পাশাপাশি নানা স্বাদের খানাপিনাও করেছে মল্লিক পরিবার। সকালে কাঞ্চনের পাতে থাকত আলুর পরোটা, মাখন পাউরুটি। শ্রীময়ীর পছন্দ নেপালি থালি। টাটকা সব্জির তরকারি, মাংসের পাতলা ঝোল দিয়ে গরম গরম ভাত ছিল তাঁর কাছে অমৃতসমান। রাতেও ভাত, ডাল, ঝুরি আলুভাজা আর মাংস পাতে থাকত।
শহরের শীতে স্ত্রীর চুল ড্রায়ারে শুকিয়ে দিয়েছেন কাঞ্চন। শৈলশহরে গিয়ে কী করলেন? “পেলিং বা দার্জিলিং গিয়ে কিছু করেনি। ট্রেনে হাঁটু মুড়ে বসে আবার প্রেম প্রস্তাব দিয়েছে”, ফাঁস করেছেন শ্রীমতি মল্লিক। আর মন থেকে চাইছেন, কৃষভি সাক্ষী থাকুক মা-বাবার মধুর দাম্পত্যের। যাতে বড় হয়ে এ ভাবেই সে-ও উজাড় করে ভালবাসতে পারে।