রাম ভক্তদের কটাক্ষ শ্রীলেখার।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তারকাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কি ততই বাড়ছে? শ্রীলেখা মিত্রের পোস্ট, বক্তব্য ইত্যাদি যে সেদিকেই ইঙ্গিত করছে! বুধবার সকালেই অভিনেত্রী একটি পোস্ট করেন নেটমাধ্যমে। বক্তব্য, ‘‘রামভক্তদের শাপে আজ আমি ডাউন! যাক আজ কোনও তির্যক পোস্ট দেব না। আবার কাল থেকে। একটু সেরে উঠি, কেমন?’’ নেটাগরিকেরা তৈরিই ছিলেন।
পোস্ট দেখেই জনৈকের দাবি, ‘কথায় আছে, শকুনের অভিশাপে গরু মরে না। এক্ষেত্রে বলতে হবে, গরুর অভিশাপে বামফ্রন্ট মরে না! কাল থেকে আবার ফিরে এস নিজের গতিতে, নিজের ছন্দে'। আরেক জনের আশ্বাস, ‘বাম ভক্তদের আশীর্বাদও তোমার সব সময়ের সঙ্গী। সঠিক চিকিৎসা করাও। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো। নিজের যত্ন নিও'।
কী হয়েছে তাঁর? জানতে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। জানালেন, "টানা কাজ করতে করতে ক্লান্ত। ফলে, সকাল থেকেই অবসন্ন লাগছিল।" তার পরেই যোগ, নিজেকে নিয়ে রসিকতা করতে ভালবাসেন। তাই এই সুযোগ ছাড়েননি। তা বলে যত দোষ রামভক্তদের? ‘‘নয় কেন?’’, পাল্টা প্রশ্ন শ্রীলেখার। সঙ্গে অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘হ্যাঁ আমি বিঁধেছি বিরোধী শিবিরকে।’’ তার পরেই অনুযোগ, ‘‘রিমঝিম মিত্র যখন শ্রীলেখাকে ‘ছিলেখা’ ডাকেন! সেটা দোষের নয়?’’
পরে নিজেই বলেন, বিজেপির শিক্ষায় শিক্ষিতদের মুখে এই ধরনের কথাই মানায়। কিন্তু তিনি কিছু বললেই তাঁকে কটাক্ষ করেন সবাই। অথচ কোনও দিন সরাসরি কাউকে তিনি কোনও কথা বলেননি। কথা প্রসঙ্গে যুক্তি, ‘‘লাল শিবির শিক্ষিতমনস্কদের। তাই এই দলের সমর্থকেরা সূক্ষ্ম খোঁচা দেন। মোটা দাগের কথা তাঁদের মুখে শুনবেন না কেউ।’’
দিন ২ আগে এমনই একটি পোস্ট নিয়ে বিরোধ বেধেছিল শ্রীলেখা-রিমঝিমের মধ্যে। সেদিনও নাম না করে ‘৭ কোটি টাকায় বিধায়ক কিনছে বিজেপি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রথম জন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পাতায় এসে তরজা শুরু করেন রিমঝিম। আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দেন। তারই পাল্টা জবাব দিলেন কি শ্রীলেখা?