ফাঁসির আসামি চঞ্চল চৌধুরী
এই চঞ্চল চৌধুরীকে চেনা দায়! জীবনটাই আমূল বদলে গিয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতার। ওজন ঝরে এতটাই রোগা যে কণ্ঠার হাড় দেখা যাচ্ছে। দাঁতে ছোপ। মারের চোটে চোখ ফুলে লাল টকটকে। গায়ে কালশিটে দাগ। কথাও বলতে পারছেন না। অভিনেতার মাথায় নাকি খুনের অভিযোগ। কাকে খুন করেছেন চঞ্চল? ইশারায় জানিয়েছেন, তিনিই নাকি মীরজাফরের খুনি! গত ২৫০ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। তাঁর ছবি প্রথম প্রকাশ্যে আনল আনন্দবাজার অনলাইন।
খবর, ‘হাওয়া’ ছবিতে তাঁর অভিনয় নাকি বাংলাদেশের আবহাওয়া বদলে দিয়েছে। কিন্তু চঞ্চল তো সদাচঞ্চল। সেই রেশ ফুরোনোর আগেই তিনি নতুন বেশে। হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম এবং বাংলাদেশের শওকিহ্যাভ-এর যৌথ প্রযোজনায় সিরিজ ‘কারাগার’-এ। পরিচালনায় বাংলাদেশের সৈয়দ আহমেদ শওকি। চঞ্চল-সওকির এটি দ্বিতীয় কাজ। সিরিজে আকাশ নগরের একটি কারাগারকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধবে। ৩২৫ জন বন্দির সংখ্যা আচমকাই বেড়ে ৩২৬! কী করে? মীরজাফরের খুনির অলৌকিক উপস্থিতিতে। ৫০১ নম্বর কক্ষটি গত ৫০ বছর ধরে তালাবন্ধ। সেখানেই আচমকা উদয় রহস্যময় ব্যক্তির। কে এই বন্দি? তারই খোঁজ সিরিজজুড়ে।
জেলবন্দির চরিত্র ফোটাতে গিয়ে কী করে নিজেকে এতটা বদলে ফেললেন চঞ্চল? অভিনেতার হাসিমাখা জবাব, ‘‘রূপটান অনেকটাই সাহায্য করেছে। নিজেও কিছুটা নিজেকে বদলেছি। যতটা সম্ভব ওজন ঝরিয়েছি। জেলবন্দিদের লক্ষ করার চেষ্টা করতাম। তাদের হাবভাব নিজের মধ্যে আত্মস্থ করেছি। হাঁটাচলায়ও বদল ঘটিয়েছিলাম।’’ এই ধারাবাহিকের জন্য অভিনেতাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা রূপটানের পিছনে খরচ করতে হয়েছে। সিরিজটি মুক্তি পাবে ১৯ অগস্ট।