বনি এবং অনামিকা।
পাহাড়ি এলাকায় চাকরি পেয়েছেন বনি সেনগুপ্ত। পেশায় হোটেল ম্যানেজার। কিছু দিনের মধ্যে নাকি কাজের জায়গায় চলে যাবেন বলে খবর। তার থেকেও বড় খবর, কৌশানি মুখোপাধ্যায় বনির সঙ্গে যাচ্ছেন না! তা হলে সঙ্গী কে? আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে পুরোটাই ফাঁস করলেন পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু। তাঁর দাবি, ছক ভেঙে নতুন কিছু করতে যাচ্ছি। গল্প থেকে চরিত্র হয়ে জুটি। সবেতেই সেই ছক ভাঙার চেষ্টা। সেই ইচ্ছে নিয়ে মে মাসের মাঝামাঝি আমার তৃতীয় ছবি ‘জতুগৃহ’র শ্যুট শুরু করছি।’’ তিনি আরও জানালেন, বনির চোখ দিয়ে দর্শকেরা পুরো গল্প দেখবেন। বনির বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ‘এখানে আকাশ নীল’-এর ‘হিয়া’। কথা চলছে ‘ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরীর সঙ্গেও। পয়লা বৈশাখ প্রকাশ্যে এসেছে ছবির ফার্স্ট লুক।
১৯৬৪-তে তপন সিংহের পরিচালনায় তৈরি হয়েছিল ‘জতুগৃহ’। উত্তম কুমার এবং অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়কে কেন্দ্রে রেখে সম্পর্কের গল্প বলেছিলেন পরিচালক। ২০২১-র ‘জতুগৃহ’ কী গল্প বলবে? সপ্তাশ্ব জানালেন, ‘‘মহাভারতে প্রথম জতুগৃহের উল্লেখ ছিল। বনের মধ্যে তৈরি সহজ দাহ্য বাড়ি। সেখানেই পাণ্ডবদের পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল কৌরব। আমার ছবি সেই দিক ছুঁয়ে যাবে।’’
কী ভাবে?
পাহাড়ের কোলে রাজপ্রাসাদের মতো পুরনো বাংলো বাড়িটিও সহজ দাহ্য। বাড়ির আগের এবং এখনকার সদস্যদের প্রায় প্রত্যেকেরই ‘অতীত’ আছে। যা তাঁদের জীবন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তছনছ করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। পরিচালকের দাবি, জতুগৃহ তাঁর ছবিতে রূপক। আগুন সত্যিই জ্বলবে কিনা, কেউ পুড়ে মরবে কিনা সেটা ছবি বলবে।
সপ্তাশ্বের মতে, এই মূহূর্তে বাংলায় রমরমিয়ে গোয়েন্দা বা রহস্য রোমাঞ্চ চললেও, ভৌতিক ছবি সে ভাবে হচ্ছে না। যাঁরা ভূতের ছবি দেখতে চান তাঁরা নির্ভর করে থাকেন হলিউড বা বলিউডের উপর। পরিচালক চেষ্টা করছেন বাংলায় এ বার সেই আমেজ আনতে। তাই ছবি মুক্তির ইচ্ছে দীপাবলিতে, ভূত চতুর্দশীর সময়। নয়তো বছরের শেষে।
মে মাসের মাঝামাঝি দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিম সহ পাহাড়ি অঞ্চলে শ্যুট করার কথা।
কমার্শিয়াল ছবির তথাকথিত ‘হিরো’ নন, বিষয়নির্ভর ছবির সূত্রধর তিনি। বিপরীতে কৌশানি বা ঋত্বিকা সেনের বদলে অনামিকা। জোড়া নতুনত্ব উপহার পেয়ে কেমন লাগছে বনির? অভিনেতার জবাব, "বারবরই একঘেয়েমি নাপসন্দ। তাই একদম অন্য রকম চরিত্র পেয়ে ভীষণ খুশি। দর্শকদের নতুন কিছু দিতে পারব ভেবে তর সইছে না।’’ পাশাপাশি, অভিনন্দন জানিয়েছেন অনামিকাকে। নতুন জুটি তৈরির সাহস দেখালেন পরিচালক, এতেই আনন্দিত বনি।
ছবিতে গানের বদলে আবহের গুরুত্ব বেশি। এই দায়িত্ব রাজা চন্দের ‘ম্যাজিক’ ছবির সুরকার প্রসেনজিৎ ঘোষালের কাঁধে। প্রযোজনায় নেক্সজেন ভেঞ্চারের রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। সহ প্রযোজক নিও স্টুডিয়ো, এসএসজি এন্টারটেনমেন্ট।