মেট্রোয় অনির্বাণের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা!
গোঁফ দিয়ে যায় চেনা। রাস্তাঘাটে কিংবা বিয়েবাড়িতে তাঁর নাকের নীচে মোটা কালো গোঁফজোড়া না দেখলে শিশুরাও প্রশ্ন করে ওঠে, ‘‘তোমার গোঁফ কোথায়?’’ অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং একেনবাবু এখন এ ভাবেই এক হয়ে গিয়েছেন আট থেকে আশি দর্শকের চোখে।
আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে সে গল্পই বলছিলেন অনির্বাণ। এক দিকে একেনবাবু, অন্য দিকে জটায়ু— দুই বৈগ্রহিক চরিত্রেই তাঁর আদল মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছে ইদানীং।
কিছু দিন আগেও বিষয়টা গোলমেলে ঠেকত বলে জানান অভিনেতা। সদ্য যখন ‘একেনবাবু’র প্রথম সিজন মুক্তি পেয়েছিল, সেই সময়েও সাধারণ যানবাহনে চড়তেন অনির্বাণ। অভিনেতা হিসাবে সদ্য পরিচিতি পাচ্ছেন যখন, এক বার মজাদার এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
অনির্বাণ হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘মেট্রোয় উঠেছি। সামনে এসে দাঁড়াল একটি ছেলে। আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আর ভাবছে এই কি সেই লোক? খুব সংশয়ে। না তাকিয়েও বুঝতে পারছিলাম ব্যাপারটা। ছেলেটি এর পর যেটা করল ভাবতে পারবেন না। ওর ফোনে হইচই (ওটিটি অ্যাপ) খুলে একেনবাবু চালাল। দেখছে আর মেলাচ্ছে। আমি শুনতে পাচ্ছি আমারই সংলাপ। সে এক পরিস্থিতি বটে!’’
তার পর সেই তরুণ নিশ্চিত হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন অনির্বাণকে, ‘‘আপনিই একেনবাবু না? সেলফি নেব একটা?’’
এতে অস্বস্তিতে পড়ে অনির্বাণ বলেন, ‘‘চট করে নাও। চট করে নাও।’’
আসলে ব্যক্তি অনির্বাণ আর সিরিজের একেন তো একেবারেই এক মানুষ নন। তিনি লাজুক, কম মিশুকে। লোকজনের মুখোমুখি হতে অস্বস্তি বোধ করেন। লাইভ আড্ডায় হাসি-গল্পের মাঝে নিজেই সে কথা জানিয়ে দিলেন। বললেন, ‘‘কিছু লোকে বোর হয়ে যান। ভাবেন, কই, একেনের মতো গপগপ করে খাই না, কথায় কথায় রসিকতা করি না। অত মজাদার লোক নই তো আমি!’’