MImi chakraborty cha kaku lockdown

শুধু লকডাউনেই নয়, ‘চা কাকু’র সারাজীবনের দায়িত্ব নিলেন মিমি চক্রবর্তী

জনতা কার্ফুর দিন চা খেতে বেড়িয়ে হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন মাঝবয়সী মানুষটা।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৫১
Share:

মৃদুল বাবুকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন মিমি।

সাদামাটা জামা কাপড়, ক্লান্তি মাখা চোখ, গাল ভর্তি হাসি— নেটাগরিকদের ‘চা কাকু’ তিনি। সেই চা কাকু ওরফে মৃদুল বাবুকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তাঁর সারা জীবনের অন্নসংস্থানের দায়িত্ব নিলেন মিমি। শুধু মাত্র খাবার এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়েই যে কাজ সারলেন তা নয়, ভিডিয়ো কলে তাঁর সঙ্গে কথাও বললেন যাদবপুরের সাংসদ।

Advertisement

জনতা কার্ফুর দিন চা খেতে বেরিয়ে হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন মাঝবয়সী মানুষটা। “আমরা কি চা খাব না? চা খাব না আমরা?”— মৃদুলবাবুর এই একটি কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে মিম, জোকসে ভরে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু মৃদুলবাবুর কঠোর জীবন সংগ্রামের কথা সামনে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠেন নেটাগরিকরা। বাড়িতে একমাত্র রোজগেরে তিনি। লকডাউন চলায় রোজকার পারিশ্রমিকে কাজ করা মৃদুলবাবু এখন বেকার। দিন কাটছে অর্থকষ্টে, — এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নেটাগরিকরা।

ভিডিয়ো কলে কথা বললেন মিমি, দেখুন সেই ভিডিয়ো

Advertisement

খবর পৌঁছয় মিমির কাছেও। আনন্দবাজার ডিজিটালকে মিমি বলেন, “আমার পেজে অনেকে ওঁর কথা প্রথম জানান আমাকে যেহেতু উনি যাদবপুরেরই মানুষ। আমার অফিস থেকে মৃদুলবাবুর ঠিকানা খুঁজে বার করা হয়। জানতে পারি খুব অসুবিধের মধ্যে রয়েছেন তিনি। এর পরেই আমার টিমের মানুষেরা ওঁর বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আসেন। শুধু লকডাউন নয়। ভবিষ্যতেও যে কোনও অসুবিধেতে আমাকে পাশে পাবেন মৃদুলবাবু। ওঁর সারাজীবনের দায়িত্ব আমার।” শুধু চা কাকুর দায়িত্ব নয়, তাঁর ছেলের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছেন মিমি।

আরও পড়ুন- ‘বলিউডে গান গেয়ে পয়সা পাই না’, বিস্ফোরক নেহা

চা খেতে ভালবাসেন মানুষটা। তাই একটি চা-র প্যাকেটও তাঁকে উপহার স্বরূপ দিয়েছেন মিমি আর মৃদুলবাবুও কথা দিয়েছেন এই ক’টা দিন বাড়িতে বসেই চা খাবেন তিনি। বাইরে বেরোবেন না।

আরও পড়ুন- ‘তিন গুণ পারিশ্রমিক দেব, কম্প্রোমাইজ করতে হবে’, আবার #মিটু ঝড় বলিউডে

শুটিংয়ের চাপ না থাকলেও সাংসদ মিমির অফিস খোলা রয়েছে ২৪ ঘণ্টা। প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় ৫০০ জন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। সবাই যেন সুস্থ থাকে, বাড়িতে থাকে— এই কামনাই করছেন মিমি চক্রবর্তী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement