(বাঁ দিক থেকে) যশ দাশগুপ্ত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং নুসরত জাহান। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং। ঘোষণার পর থেকেই ছবি ঘিরে দর্শকের আগ্রহ ছিল লক্ষণীয়। কারণ, ‘শিকার’-এর মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান। ছবিতে বিশেষ একটি চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। টলিপাড়ায় গুঞ্জন, ছবিটি নাকি আর মুক্তির আলো দেখবে না। নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ।
শোনা যাচ্ছে, ছবির যে অংশের শুটিং হয়েছে, তা দেখে অভিনেতাদের মোটেই পছন্দ হয়নি। পরিচালককে ছবিটির সিংহভাগ নতুন করে শুটিং করতে বলা হয়েছে। এ দিকে ছবির প্রায় ৮০ শতাংশ শুটিং হয়ে গিয়েছে। অল্প কিছু দৃশ্য এবং মূলত গানের শুটিং বাকি রয়েছে। এখন প্রশ্ন, বড় বাজেটের একটি ছবির নতুন করে শুটিং করা কি সম্ভব? সে ক্ষেত্রে বাজেটও বাড়বে।
ইন্ডাস্ট্রির একটি সূত্রের দাবি, নতুন করে শুটিং না করে ছবিটি যদি রিলিজ় করা হয়, তা হলে লোকসান আরও বেশি। কারণ প্রথমে পরিচালক যা বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ছবিটিকে সেই জায়গায় তিনি নিয়ে যেতে পারেননি। তাই অভিনেতারা এই ছবি নিয়ে আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
উল্লেখ্য, ‘সেন্টিমেন্টাল’-এর পর যশ-নুসরতের পরবর্তী ছবি ‘শিকার’। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই ছবি নিয়ে দর্শকের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে। কিন্তু, ছবি ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় অনেকেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
‘শিকার’-এর ছবিটির পরিচালক দেবরাজ সিংহ। ইন্ডাস্ট্রিতে খোঁজ নেওয়ায় অন্য মতও উঠে আসছে। এই ছবিটি ছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে ‘ফেলু বক্সী’ ছবিটি। ইন্ডাস্ট্রির এক সূত্রের দাবি, পরিচালকের উপর ভরসা রাখতে পারেননি বলেই এই ছবিতে টলিপাড়ার প্রথম সারির কোনও নায়িকা অভিনয় করতে চাননি। সেই ছবিতে শেষ পর্যন্ত অভিনয় করছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণি এবং টলিপাড়ার মধুমিতা সরকার। ছবিটির প্রযোজক সোহম চক্রবর্তী। তিনি ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয়ও করছেন। সূত্রের দাবি, ‘শিকার’-এর ঘটনার পর ‘ফেলু বক্সী’র শুট করা অংশ নির্মাতাদের পছন্দ হয় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে।
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে ‘শিকার’-এর পরিচালক দেবরাজ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে অধরা। তবে মুখ খুলেছেন ছবির প্রযোজক মুকেশ পাণ্ডে। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘আমাদের নামে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। ছবির শুটিং শেষ। শুধু গানের শুটিং বাকি রয়েছে। তাই নতুন করে শুটিংয়ের কোনও প্রশ্নই নেই।’’ তা হলে ছবির বাকি অংশের শুটিং কবে হবে? মুকেশের কথায়, ‘‘সামনে পুজো। তাই সময় নিচ্ছি। আগামী নভেম্বর মাসে আমরা আবার ছবির শুটিং শেষ করব।’’ এখন সত্যিই ছবি নতুন করে শুট করা হবে, না কি শুটিং শেষ করে তা মুক্তির আলো দেখবে, সময়েই তার উত্তর পাওয়া যাবে।