ছবিতে আবীর
একটি টুইট দিয়ে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। আবার একটি টুইটই সেই বিতর্কের নিষ্পত্তি করল। সম্প্রতি এসভিএফ-এর অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি টুইট করেন, এই পুজোয় তাঁরা ব্যোমকেশ বক্সী আনছেন। নাম ভূমিকায় আবীর চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পরিচালকের নাম অরিন্দম শীল থেকে বদলে গিয়ে বিরসা দাশগুপ্ত হয়ে যায়। সেই রহস্য উন্মোচন হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে মহেন্দ্র সোনির ফের টুইট, পুজোয় তাঁরা ব্যোমকেশ আনছেন না।
সত্যান্বেষণের প্রাথমিক পর্বে জানা যাচ্ছে, পুজোয় আবীরের ছবি ‘অসুর’ আসছে। অভিনেতা সংঘাত চান না। তাই মহেন্দ্র সোনির টুইটটির পরেই তিনি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের মতামত জানান। এ দিকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সায়ন্তন ঘোষাল আর একটি ব্যোমকেশ বক্সী আনছেন পুজোয়। এসভিএফ কিন্তু সেই কারণে ব্যোমকেশের ঘোষণা করেনি। কিছু দিন আগেই অরিন্দম শীল জানিয়েছিলেন, পুজোর সময়ে ‘মিতিন মাসি’ আনবেন। মহেন্দ্র সোনির ওই টুইট ছিল তারই পাল্টা।
শ্রীকান্ত মোহতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ওই সংস্থার ক্যাম্পে কারা থাকছেন, সেটা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অরিন্দম আগামী ব্যোমকেশ নিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু সংস্থা তখন ছবিটি করতে আগ্রহী ছিল না। এসভিএফ পরিচালকের সঙ্গে অন্য কোনও প্রজেক্ট নিয়েও আলোচনা করেনি। এই অবস্থায় অরিন্দম প্রযোজনা সংস্থা ক্যামেলিয়ার সঙ্গে ‘মিতিন মাসি’ শুরু করে দেন। এবং তিনি এই বিষয়ে এসভিএফ-কে কিছু জানাননি বলেই খবর। অরিন্দমের হিটের সংখ্যা বিরসার চেয়ে বেশি হলেও সংস্থার সুনজরের তালিকা থেকে তাঁর নাম কাটা যায়।
‘ব্যোমকেশ ও বরদা’ নিয়ে আগামী ছবির পরিকল্পনা করে সংস্থা। পুজো রিলিজ়ের কথা ভাবলেও ছবির চিত্রনাট্য তৈরি নয়। এর মধ্যেই নানা মহলে অরিন্দমকে বাদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা ঘুরতে থাকে। সংস্থারও মনে হয়, অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করলে ব্যোমকেশের মতো হিট ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রথম বার ব্যোমকেশ পরিচালনার জন্য বিরসার সময়ের প্রয়োজন ছিল। এ দিকে আবীরের ‘অসুর’ ছবিটিরও শুটিং পিছোয়। ফলে বিরসা কবে তাঁর ব্যোমকেশের শুটিং করবেন, তাতেও প্রশ্নচিহ্ন। এই জটিলতার অবসান ঘটাতেই মহেন্দ্র সোনি জানান, তাঁরা ব্যোমকেশ নিয়ে আসছেন না।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।