প্রশংসা, পুরস্কার যেমন পেয়েছেন, সমালোচনাও শুনেছেন বিস্তর। বিশেষ করে সুপারস্টার বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তুলনা! -ফাইল চিত্র
পেশাদার জীবনে দু’দশক ধরে অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন অভিষেক বচ্চন। তাঁর অভিনীত চরিত্র নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রশংসা, পুরস্কার যেমন পেয়েছেন, সমালোচনাও শুনেছেন বিস্তর। বিশেষ করে সুপারস্টার বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তুলনা। সবই মনে রেখেছেন অভিষেক। কিন্তু নিজস্ব পন্থায়। এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, একটা গোপন খাতা আছে তাঁর। তাতেই তুলে রাখেন সব। যে সমস্ত খারাপ মন্তব্য, সমালোচনা তাঁর চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন, সেগুলোকে সরিয়ে রাখেন ওই খাতায়। এতে আত্মসংস্কারও হয় বলে দাবি অভিষেকের।
২০০২ সালে ‘শরারত’ ছবির শুটিংয়ের সময় অভিনেতা প্রথম বার এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানালেন, সমালোচনা শুনে নিজেকে ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করেন। আর এখন?
ওয়েব সিরিজ় ‘ব্রিদ: ইনটু দ্য শ্যাডোজ’-এর সিজ়ন ২ সদ্য মুক্তি পেয়েছে। অভিষেকের অভিনয়ে মুগ্ধ অনুরাগীরা। তবে বিরূপ মন্তব্যও কানে এসেছে। সে নিয়ে জুনিয়র বি বললেন, “আমি এখনও সমালোচনা শুনে একই কাজ করি। তবে একটু অন্য ভাবে। আগে দর্শকের খারাপ প্রতিক্রিয়াগুলো লিখে বাথরুমের আয়নায় লাগিয়ে রাখতাম। এখন আর জায়গা নেই, আয়না পুরো ঢেকে গেছে। তাই ছোট্ট একটা নোটবুক রাখি কাছে।”
অভিনেতা জানান, তিনি মনে করেন প্রত্যেকের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। সবই তিনি শুনতে চান। এবং মনেও রাখতে চান। তাই-ই এই পন্থা। আরও জানান, বাবা অমিতাভই তাঁকে বুদ্ধিটা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “এখানে লিখে রাখো। রোজ এক বার করে পড়বে। তার পর কাজ করবে যখন, সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নেবে। সেটাকেই অনুপ্রেরণা করে নাও।”
সেই মতোই নোটবুক দেখে রোজ কাজে বেরোন অভিষেক।