২০০৫ সালে বেভারলি হিলসের পেনিনসুলা হোটেলে হার্ভের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন জেনিফার। ফাইল চিত্র।
ভাঙাচোরা, বীভৎস! মাছের মতো! প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের পুরুষাঙ্গের কথা মনে পড়তেই আদালতে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের স্ত্রী জেনিফার সাইবেল নিউসম। সোমবার শুনানি ছিল পুরনো মামলার। হাজিরা দিতে এসেছিলেন জেনিফার। অতীতে হলিউড প্রযোজক তাঁকে কী ভাবে ধর্ষণ করেছিলেন, সেই অভিজ্ঞতা সকলের সামনে বলতে গিয়ে ঘৃণায় কুঁকড়ে গেলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।
বর্তমানে গভর্নর গ্যাভিন নিউসোমের সহধর্মিণী হলেও এক সময়ে অভিনয় করতেন জেনিফার। হলিউড প্রযোজক হার্ভের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। সেই মতোই এক ছবি নিয়ে কাজের কথা বলতে দেখা করেছিলেন দু’জনে। কিন্তু তার পরই বিপদ ঘনায়। ২০০৫ সালে বেভারলি হিলসের পেনিনসুলা হোটেলে হার্ভের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন জেনিফার। শুধু তা-ই নয়, জেনিফারের দাবি, এমন ভয়াবহ কিছু দেখেছিলেন তিনি হার্ভের শরীরে, যা মনে করলেই বিবমিষা হয়।
লস এঞ্জেলেসের সুপিরিয়র আদালতে দাঁড়িয়ে জেনিফার বললেন, “আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। বাধা দিয়েছিলাম। ভয়ে কাঁপছিলাম। সবচেয়ে কুৎসিত দুঃস্বপ্নের মতো কাটল তার পর। আদরপুতুলের মতো ব্যবহার করে আমার উপর হস্তমৈথুন করল হার্ভে।”
জেনিফার জানান, হার্ভের যৌনাঙ্গ মাছের মতো। চেরা। বিকৃত। জোর করে সঙ্গমের চেষ্টা করতে কিছুটা অংশ তাঁর যোনিতে প্রবেশ করেছিল। বাকি অংশ বাইরে ছিল। গা গুলিয়ে উঠছিল জেনিফারের।
হলিউড প্রযোজক হার্ভের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল গভর্নর গ্যাভিন নিউসোমের সহধর্মিণীর। ছবি নিয়ে কাজের কথা বলতে দেখা করেছিলেন দু’জনে। ফাইল চিত্র।
এর পর আইনজীবী হার্ভের চেহারা সম্পর্কে বিশদ জানতে চাইলে জেনিফার বললেন, “হলুদ-সবুজ নানা রকমের ক্ষতচিহ্ন সারা গায়ে। পেটে স্ট্রেচ মার্ক ভর্তি। শারীরিক ভাবে একেবারেই সুস্থ নয় সে। মনে হচ্ছিল ওর যৌনাঙ্গের চামড়া কাটা। ভীষণ অদ্ভুত, মাছের মতো শিশ্ন। শুক্রাশয়েও কুৎসিত চামড়ার ভাঁজ...।”
গত ২৩ বছর ধরে নিউ ইয়র্ক সংশোধনাগারে জেল খাটছেন হার্ভে। জেনিফারই শুধু নন, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন আরও ৩ জন অভিনেত্রী।
২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তিনি বহু মহিলার কেরিয়ার নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ।