জুহি এবং রানি।
তারকাদের সন্তান সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম আকর্ষণ, তা সদ্যোজাত হোক বা টিনএজার। টলিউডের রাজ-শুভশ্রী হোক বা বলিউডের কল্কি কেঁকলা... ছবিটা মোটামুটি এক। ভোটিং বুথে খুদে তৈমুরকে সঙ্গে করে গিয়েছিলেন করিনা কপূর খান। পাপারাৎজ়ির দাপটে সেলেব্রিটিদের ‘তারকা-দ্যুতির’ উজ্জ্বল রশ্মি তাঁদের সন্তানেরা। দাঁড়িপাল্লায় দেখনদারির ভার বেশি বটে, কিন্তু অন্য দিকটিও উপেক্ষা করার নয়। বলিউডের প্রথম সারির কয়েকজন তারকা রয়েছেন, যাঁরা প্রথম থেকেই সন্তানদের প্রচারের আলো থেকে দূরে রেখেছেন।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জুহি চাওলার মেয়ে জাহ্নবীর বয়স উনিশ, ছেলে অর্জুন সতেরো। দুই সেলেব টিনএজার যখন ছোট ছিল, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট এতটাও ছিল না। তবে জুহির সমসাময়িক মাধুরী দীক্ষিত, কাজল, করিশ্মা কপূরেরা যে ভাবে নিজেদের ছেলেমেয়েকে প্রচারের আলোয় রাখেন, জুহি তা থেকে শত হস্ত দূরে।
আবার তৈমুরের চেয়ে মাত্র এক বছরের বড় আদিরা, আদিত্য চোপড়া এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। কিন্তু কন্যার জন্মের পর থেকেই রানি ঠিক করে নিয়েছেন, আদিরাকে প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখবেন। মুম্বইয়ের ছবি-শিকারিদের কাছে তাঁর অনুরোধ, যেন মেয়ের ছবি তোলা না হয়। আদিরার জন্মদিনের পার্টিতে অন্য খুদে-তারকারা ফ্রেমবন্দি হয়। তবে ঝলকও দেখা যায় না বার্থডে গার্লের!
অক্ষয়কুমারের মেয়ে নিতারার বয়স আট। মেয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা-পোস্ট বা বাবা-মেয়ের খুনসুটির মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অক্ষয়, কখনও বা তাঁর স্ত্রী টুইঙ্কল। কিন্তু পাপারাৎজ়ির ঝলকানি সম্পর্কে সচেতন অক্ষয়। তাই কিছুটা হলেও মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখেন মিডিয়ার নজর থেকে। বয়স কম বলেই হয়তো।
আবার নেহা ধুপিয়া এবং অঙ্গদ বেদী তাঁদের কন্যা মেহেরের হাজারো ছবি পোস্ট করেন। তবে সব ছবিতেই ক্যামেরার দিক থেকে মুখ ফেরানো থাকে খুদের। প্রচারে থাকা ও না-থাকার মাঝামাঝি এ এক অবস্থান।
অভিভাবকত্বের অভিজ্ঞতা সকলের কাছেই স্বতন্ত্র। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জুহি বলেছেন, ‘‘ছোটদের সব সময়েই সমস্যার মনে হত। মা হওয়ার পরে দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়। এখন আউটডোরে গেলেও ছেলেমেয়ের জন্য নাগাড়ে বেশি দিনের শিডিউল রাখি না।’’ জুহির মত, পারফেক্ট পেরেন্টিং বলে কিছু হয় না। সকলেই তাঁর মতো চেষ্টা করেন। সন্তানদের প্রচারের আলোয় রাখার তারতম্যও সেলেব- পেরেন্টিংয়ের এক অঙ্গ।