Neetu kapoor

প্রথম রোজগার দিয়ে মা নীতুকে দুপুরের খাবার খাইয়েছিলেন পুত্র রণবীর কপূর?

সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তিনি ২ সন্তান রণবীর কপূর এবং ঋদ্ধিমা কপূর সাহনির ছেলেবেলার কিছু গল্প ভাগ করে নিয়েছেন। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ১২:১৮
Share:

নীতু এবং রণবীর।

তারকাদের ছোটবেলা কেমন? এই নিয়ে অনন্ত কৌতূহল মানুষের মনে। তারই কিছুটা মেটালেন নীতু কপূর। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তিনি ২ সন্তান রণবীর কপূর এবং ঋদ্ধিমা কপূর সাহনির ছেলেবেলার কিছু গল্প ভাগ করে নিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে নীতুর দাবি, "আমি আর রণবীর যখনই মুখোমুখি হই বেশির ভাগ সময় অভিনয় নিয়েই কথা বলি। আলোচনায় ছবির বিষয় উঠে আসে। কোন অভিনেতা কেমন অভিনয় করেন, তাই নিয়েও তর্ক হয়। আবার নিজের ছবির চিত্রনাট্যও আমাকে না শোনালে শান্তি পায় না রণবীর।" যদিও সমস্ত সিদ্ধান্ত রণবীর নিজেই নিতে ভালবাসেন, জানিয়েছেন নীতু।

রণবীর তখন অমিতাভ বচ্চন-রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘ব্ল্যাক’ ছবির সহকারি পরিচালক। সবে রোজগার শুরু করেছেন। তার থেকেই ১০০ টাকা খরচ করে এক দিন নীতুকে ভরপেট দুপুরের খাওয়া খাইয়েছিলেন। নীতুর এখনও মনে আছে, দিনটা ছিল মাতৃদিবস। এমন দিনে ছেলের প্রথম রোজগারের টাকায় ইচ্ছেমতো খাওয়া, মায়ের কাছে এ কী কম কথা?

কম যান না ঋদ্ধিমাও। লন্ডনে পড়াশোনার করার সময়েই তিনি ছবির মতো সাজানো শহর মাকে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন গাড়িতে চাপিয়ে! কী করে? নীতুর কথায়, ‘‘পড়াশোনার পাশাপাশি আমার মেয়ে আংশিক সময়ের জন্য কাজও করত। নিজের হাতখরচের জন্য।’’ মা লন্ডনে তাঁর কাছে আসছে এ কথা জেনেই আগেভাগে একটি গাড়ি বুক করে রেখেছিলেন ঋদ্ধিমা। নীতু বিমানবন্দরে পা রাখার পর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও হাঁটেননি। সব জায়গায় গিয়েছেন, ঘুরেছেন মেয়ের ভাড়া করা গাড়ি চেপে।

তারকা দম্পতির সন্তান রণবীর, ঋদ্ধিমা। এক দম ছোটবেলায় মুখ থেকে কথা খসালেই হাতের গোড়ায় সব পেয়ে যেতেন? নীতু জানিয়েছেন, এমনটা কোনও দিন হয়নি। এক দম ছোট থেকেই নাকি খেলনা গাড়ির শখ ছিল রণবীরের। সারাক্ষণ হয় খেলনা বাইক, নয় গাড়ি নিয়ে খেলায় মত্ত! এমন ছেলে যে একটু বড় হয়ে বাবার কাছে গাড়ির বায়না করবেন সেটাই স্বাভাবিক। নীতুর মতে, বাবা হিসেবে ভীষণ কড়া ছিলেন ঋষি। তাই যতই ছেলে আবদার জানাক, পাত্তাই দিতেন না। রণবীরের যখন ১৯ বছর বয়স তখন গাড়ি কিনে দিয়ে ছেলের সাধ পূরণ করেছিলেন তিনি।

রণবীরের এক দম উল্টো ঋদ্ধিমা। তিনি সাজগোজ ভালবাসতেন। তাই মাত্র ১৫ বছরেই চুল হাইলাইট করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন মা-কে। তাও ভয়ের চোটে মুখে জানাতে পারেননি। বদলে বিশাল বড় একটি চিঠি লিখেছিলেন। এ দিকে সন্তান শাসনের ব্যাপারে বেজায় কড়া ঋষি-নীতু। ছেলে-মেয়েরা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় তাই তাঁদের বায়না শুনেও যেন শুনতেন না। নীতুর মনে হয়েছিল, হাইলাইটস করলে মেয়ের চুলের বারোটা বাজবে। তাই রণবীরের মতো ঋদ্ধিমার বায়নাও নাকচ হয়ে গিয়েছিল সে দিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement