প্রচারে নির্যাতিতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
সক্রিয় রাজনীতিতে নামার ইঙ্গিত ছিলই। এ বার সরাসরি বিজেপি-র ভোট-প্রচারে নেমে পড়লেন সাত্তোরের নির্যাতিতা। এবং নামলেন নিজেকে বীরভূমের মুরারই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দাবি করে! এখনও অবশ্য তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেনি বিজেপি। আজ, শুক্রবার বিজেপি-র চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা বেরনোর কথা। তার আগেই, বৃহস্পতিবার প্রথমে বিজেপি পতাকা নিয়ে মুরারই থানা লাগোয়া এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন ওই বধূ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি জানি, আমাকে প্রার্থী করা হবে। এমনকী, রাজ্য নেতৃত্ব আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন আমি এখনও প্রচার শুরু করিনি। তাঁদের নির্দেশ মতোই প্রচার শুরু করেছি।’’
কিরণের পাশে লক্ষ্মণ
বামফ্রন্টের বাইরে পৃথক ভাবে লড়াইয়ের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির কিরণময় নন্দ। এ বার তাঁর হাত ধরলেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। কিরণময়বাবুর সমাজবাদী পার্টি এবং লক্ষ্মণবাবুর ‘ভারত নির্মাণ পার্টি’ নিয়ে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ জোট প্রাথমিক ভাবে ৬০টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দু’দল ছাড়াও এস পি তিওয়ারির (তাঁকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল তিনিও ফরওয়ার্ড ব্লক) নেতৃত্বে সমাজবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক এবং গণতান্ত্রিক কমিউনিস্ট পার্টি এই জোটে রয়েছে। কিরণময়বাবু বলেন, ‘‘সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে যে জোট করেছে, তা অনৈতিক। আমরা তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে।’’ লক্ষ্মণবাবুর দল পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩টি আসনে প্রার্থী দেবে। এই জেলায় সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী দেবে ৩টি আসনে। তিওয়ারি নিজে প্রার্থী হচ্ছেন জগদ্দল আসনে। তাঁর দল লড়ছে ১৫টি আসনে। লক্ষ্মণবাবু জানান, ভবিষ্যতে তমলুক লোকসভা আসনে লড়তে পারেন। সেই জন্যই এ বারের বিধানসভা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না।
ক্ষোভের মুখে
গত পাঁচ বছরে তাঁর দেখা মেলেনি, ভোটের প্রচারে গিয়ে এমন অভিযোগের সামনে পড়লেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার করঙ্গপাড়া এলাকায় প্রচার করছিলেন বিদায়ী বিধায়ক তথা দুর্গাপুরের মেয়র অপূর্ববাবু। অপূর্ববাবু সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভ থামেনি। শেষে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান দলের কর্মীরা। পরে অপূর্ববাবু বলেন, ‘‘বহু কাজ হয়েছে। হয়তো কিছু বাকি আছে। সেগুলোর তো শুনতে হবে।’’