অগ্নিমিত্রা পাল। ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপি-র মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদটি কি অত্যন্ত পয়মন্ত? গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠদের চর্চায় এ প্রশ্নটাই উঠতে শুরু করেছে। রবিবার আসানসোল (দক্ষিণ) আসনে অগ্নিমিত্রা পালের জয়ের পর যে চর্চা বাড়তি মাত্রা পেয়েছে।
কাকতালীয় ভাবে, মহিলা মোর্চার দায়িত্বভার সামলানোর পর পরই রাজনৈতিক জীবনে ‘উত্থান’ ঘটেছে একাধিক বিজেপি নেত্রীর। সেই তালিকায় রয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীরা। তালিকায় নয়া সংযোজন অগ্নিমিত্রা। পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। নিজেই স্বীকার করেছেন, ২৩ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে কখনই রাজনীতিতে ঝোঁক ছিল না। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। তার পর স্বল্প সময়ের মধ্যেই দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি পদের দায়িত্বভার পেয়েছেন। আসানসোল (দক্ষিণ) বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট হাতে পাওয়ার পর ঝানু রাজনীতিকের মতো নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। ভোটপ্রচারের পর্বে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। সায়নীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘২ মে-র ফলাফল বেরোনোর পর কন্ডোমের দোকান দেবেন তিনি।’’ তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে তার পরেও নিজের মত প্রকাশে পিছু হঠেননি অগ্নিমিত্রা।
সায়নী-পর্বই শেষ নয়, তৃণমূল ছেড়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর দলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় মতোই তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে গেরুয়া নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েছেন। দল থেকে শোকজও করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সে সবই এখন অতীত। রবিবার আসানসোল (দক্ষিণ) কেন্দ্রে ভোটগণনার পর দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী তথা টলিউড অভিনেতা সায়নীকে হারিয়ে দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। ফলে, রাজনীতিতে আপাত আনকোরা অগ্নিমিত্রা প্রথম চেষ্টাতেই পৌঁছে গিয়েছেন বিধানসভার অন্দরে।
অগ্নিমিত্রার আগে মহিলা মোর্চার পদে দেখা গিয়েছে রূপা এবং লকেটকেও। ঘটনাচক্রে, সে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যসভায় পৌঁছেছেন রূপা। অন্য দিকে, হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে লোকসভার সাংসদ হয়েছেন লকেট। যদিও এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। রবিবার অগ্নিমিত্রার জয়ের পর রাজ্য বিজেপি-র আরও এক মহিলা নেত্রী এ বার জায়গা করে নিলেন বিধানসভায়।