অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
বীরভূম এবং নির্বাচন— গত এক দশক ধরে এই দু’টি শব্দের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ২০২১-এর নির্বাচনের শুরু থেকেই দিদির ‘ভরসার পাত্র’ বলে এসেছেন ‘খেলা হবে’। শেষ দফার ভোটের৪৮ ঘণ্টা আগেই তাঁকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন। তার পরও নির্লিপ্ত কেষ্ট বলেছিলেন, ‘‘খেলব মনে করলেই খেলা যায়।’’ ভোটের ফল দেখিয়ে দিল ঘাড়ের উপর কমিশনের মার্কিং সত্ত্বেও ‘খেলায়’ হেলায় জিতেছেন কেষ্ট।
রবিবার ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, বীরভূমের ১১ বিধানসভার মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে তৃণমূল। শুধু দুবরাজপুর আসনটি জিতেছে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলে ৫টি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি এবং ৬ টি আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সে অর্থে পিছিয়ে থাকা আসনগুলি নিজেদের পক্ষে আনতে সমর্থ হয়েছেন অনুব্রত। যদিও ১০টি আসনে জিতেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন অনুব্রত।
তবে ভোটের আগে অনুব্রতর উপর চাপ ছিল ভালই। কমিশনের এই ‘প্রেশার’ তাঁর কাছে কঠিন কিছু নয় বলেই রবিবার জানিয়েছেন কেষ্ট। তাঁর কথায়, ‘‘কঠিন নয়। এটা বিজেপি-র নোংরামো।’’ ভোটের দিন কয়েক আগেই বীরভূমের পুলিশ প্রশাসনে একাধিক রদবদল করে কমিশন। সপ্তম দফার নির্বাচনের দিনই অনুব্রত কাছে আসে সিবিআইয়ের নোটিস। তার আগে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় অনুব্রতকে নোটিস ধরায় আয়কর দফতর। তার পর শুরু হয় নজরদারিও। যদিও নজরদারির মধ্যেই ঘণ্টাখানেকের জন্য ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নজরদারির মধ্যে থেকেও জানিয়েছিলেন, ‘‘ফাইন খেলা হয়েছে।’’ ফলও বুঝিয়ে দিচ্ছে কেমন ‘খেলেছেন’ কেষ্ট। যদিও খেলা জেতার পরও বিনয়ী অনুব্রত জয়ের কৃতিত্ব নিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘দিদিই সব।’’