প্রতীকী ছবি।
কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ। কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা দুই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। দুই কেন্দ্রে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য জেলা ও প্রদেশ কংগ্রেসকে জানানো হয়েছে।
৬ মার্চ কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইন্দ্রনীল রাউত ও পাথরপ্রতিমা কেন্দ্রে সুকদেব বেরার নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্ত ওই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী স্থানীয় নেতৃত্বের পছন্দ হয়নি। পর দিনেই নেতা ও কর্মীদের গণস্বাক্ষর নিয়ে জেলা ও প্রদেশে পাঠানো হয়। বুধবার পাথরপ্রতিমা থেকে কংগ্রেসের নেতারা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়ে যান। পাথরপ্রতিমা ব্লকের কিসান কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দাস বলেন, ‘‘আমরা ১০-১২ জন মিলে প্রদেশ দফতরে গিয়েছিলাম। প্রার্থী বদল করার বিষয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়ে এসেছি।’’
দুই প্রার্থীকে নিয়ে কী সমস্যা?
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দ্রনীল রাউতকে অনেকেই চেনেন না বলে অভিযোগ কাকদ্বীপের কংগ্রেস নেতা রফিকউদ্দিন মোল্লা-সহ অনেকের। তাঁদের আরও অভিযোগ, কোনও জনসংযোগ নেই ওই প্রার্থীর। রফিকের দাবি, ‘‘কে ইন্দ্রনীল, আমি তো চিনি না। এমনকী, শুনেছি ওঁর পরিবারের কেউ দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। প্রার্থী বদলের দাবির বিষয়টি নিয়ে আমরা উপরমহলে জানিয়েছি।’’
সুকদেব বেরাকে নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, এখানে ১৫টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সুকদেবের প্রতি সমর্থন আছে ২-৩টি পঞ্চায়েত এলাকার নেতা-কর্মীদের। বাকিরা এই প্রার্থীকে চান না। তাঁরা আলাউদ্দিন মোল্লাকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়েছেন। পাথরপ্রতিমা ব্লকের কিসান কংগ্রেসের সভাপতি ও ব্লকের সদস্য স্বপন দাসের অভিযোগ, ‘‘আমরা প্রার্থী পদ ঠিক করার জন্য ২ তারিখ সমস্ত পঞ্চায়েতের নেতৃত্বকে নিয়ে সভা করেছিলাম। সেখানে আলাউদ্দিনের পক্ষে সকলের সমর্থন ছিল। কিন্ত প্রদেশ থেকে সুকদেব বেরার নাম কেন ঘোষণা হল, তা জানি না। আমরা অভিযোগ পাঠিয়েছি।’’
কাকদ্বীপের কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রনীল রাউত বলেন, ‘‘অনেকেই টিকিট পাওয়ার আশা করেছিলে। কিন্তু পাননি বলেই একটু রাগ হয়েছে। তবে ওঁরা আমাদেরই লোক। আবার ফিরে আসবেন। আমি ওঁদের গলা জড়িয়ে আদর করব।’’
সুকদেব বেরা বলেন, ‘‘কারা কী কারণে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন জানি না। প্রদেশ দফতরে গিয়েছিলেন বলে শুনিনি। আমি আজই মনোনয়ন জমা দিয়েছি।’’