দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-র তোপের মুখে পড়েছেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। তা সত্ত্বেও নিজের কেন্দ্রে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। ওই কাজ প্রায় শেষের দিকে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এই দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-র তোপের মুখে পড়েছেন বিধান। বিধানকে ‘সিন্ডিকেট কোম্পানির অনুগত সৈনিক’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, বিধান এবং তাঁর অনুগামীদের তোলাবাজির টাকাই পৌঁছচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ফলে ভোটে তাঁর টিকিট নিশ্চিত। অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক বিধানের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা না হলেও এই কেন্দ্রে ফের তিনিই লড়বেন। তাই নিজের কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজও প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। শুক্রবার টেলিফোনে বিধান বলেন, “আমাদের এলাকায় দেওয়াল লিখন প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।”
বারাবনি কেন্দ্রে দলের প্রার্থী যে বিধানই হবেন, সে সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী স্থানীয় পাঁচগাছিয়া পঞ্চায়েত প্রধান মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বারাবনিতে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন বিধান উপাধ্যায়।”
শুধুমাত্র দেওয়াল লিখনই নয়, বিধানের হয়ে ভোটপ্রচারও চালাচ্ছেন দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামীরা। বারাবনি বিধানসভা এলাকার পাঁচগাছিয়া, নুনি, লালগঞ্জ, আমডিহা, সালানপুর গৌড়াণ্ডি, দাসকেয়ারি-সহ বিভিন্ন গ্রামের দেওয়াল লিখনের কাজ পুরোদমে চলছে। পাশাপাশি, ওই এলাকাগুলিতে বিধানের হয়ে ছোট ছোট বৈঠক-সহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা।
প্রার্থী ঘোষণার আগেই বিধানের দেওয়াল লিখন ঘিরে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের বারাবনি বিধানসভার ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি সাধন রাউত বলেন, “যারা বালি এবং কয়লা (পাচার) থেকে সব থেকে বেশি কাটমানি পৌঁছে দিয়েছে, তাদের তো টিকিট নিশ্চিত। পিসি-ভাইপোর সিন্ডিকেট কোম্পানির অনুগত সৈনিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি তোলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছে বিধান উপাধ্যায় এবং কোম্পানি।”
বিজেপি-র আক্রমণের মুখে পড়লেও এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এগুলো বড় বড় ব্যাপার। জেলা থেকে কিছু বলা সম্ভব নয়।”