ফাইল চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ মার্চ নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। শুক্রবার দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তিনি বলেন, ‘‘আমি কথা দিলে কথা রাখি। বলেছিলাম নন্দীগ্রামে দাঁড়াব। সেখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’’ রাজ্য জুড়ে তিনি ১২৯টি নির্বাচনী সভা করবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।
মনোয়ন পেশের পর নন্দীগ্রামে নির্বাচনী কর্মসূচি থাকবে বলে জানান মমতা। লড়াইয়ের জন্য তাঁর থাকার বাড়ি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন পূর্ণেন্দু বসু, দোলা সেন ও সুখেন্দুশেখর রায়ের মতো নেতানেত্রী। তাঁরা ওখানে থেকেই মমতার ভোটের কাজ সামলাবেন। এ দিকে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ আওয়াজ তুলেছেন মেদিনীপুরের ভূমিপত্র চাই। বহিরাগত নয়।’’
মমতা নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণার পরে বিজেপি বলা শুরু করেছিল তিনি ভবানীপুরেই পালিয়ে যাবেন। এখন প্রার্থী তালিকায় মমতার নাম শুধু নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বেরনোর পরে বিজেপির পাল্টা প্রচার, মমতা ভবানীপুর থেকে পালালেন। টুইটারে ‘পালিয়ে গেল মমতা’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে তারা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পরাজয় নিশ্চিত বুঝে মমতা ভবানীপুর থেকে নন্দীগ্রামে লংজাম্প দিয়েছেন।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কোনও আসনই আপনার ( মমতা) জন্য নিরাপদ নয়। আপনি পালাতে পারেন, লুকোতে পারবেন না।’’ শুভেন্দুরও মন্তব্য, ‘‘ভবানীপুরে মমতা যত ভোটে হারতে পারতেন, নন্দীগ্রামে তার ৩ গুণ বেশি ভোটে হারাব।’’
তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার মন্তব্য, ‘‘শূন্য কলসি বাজে বেশি। যে দল সামান্য প্রার্থী তালিকা বের করতে হিমশিম খায় জয় পরাজয়ের অঙ্ক তারা কী বুঝবে? যিনি মমতার বিরুদ্ধে হারানোর আস্ফালন করছেন মমতার হাত ধরে তিনি রাজনীতির সিঁড়ি চিনেছেন। এই ঔদ্ধত্য মানুষ ক্ষমা করে না।’’