নীলবাড়ির লড়াইয়ে প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। পাহাড়ের ৩টি আসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে বাকি ২৯১ আসনের প্রার্থীদের নামই জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখে নিন জেলা অনুযায়ী কোন আসনে কে তৃণমূল প্রার্থী। একই সঙ্গে জানুন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কোথায় তৃণমূল এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে।
৯ আসনের কোচহিবারে এ বার তেমন চমক নেই তৃণমূলের।
৫ আসনের আলিপুরদুয়ারে বড় চমক না থাকলেও ফের নিজের কেন্দ্রেই প্রার্থী হচ্ছেন সৌরভ চক্রবর্তী।
জলপাইগুড়ি জেলায় মোট আসন ৭টি। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে এ বারও প্রার্থী মন্ত্রী গৌতম দেব।
কালিম্পং জেলার একমাত্র আসন এবং দার্জিলিং জেলার দু’টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে না তৃণমূল। ওই ৩ আসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছাড়ল তৃণমূল।
উত্তর দিনাজপুরে মোট আসন ৯টি। কানাইয়ালাল আগরওয়াল এ বার প্রার্থী রায়গঞ্জ আসন থেকে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে মোট আসন ৬। টিকিট পেলেন না মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। তাঁর কেন্দ্র তপনে প্রার্থী কল্পনা কিস্কু।
মালদহ জেলায় মোট আসন ১২টি। প্রার্থী তালিকায় আছেন সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।
ইংরেজবাজারে যুদ্ধ ঠেকাতে বিধায়ক নিহার ঘোষকে পাঠানো হল চাঁচোল আসনে।
মুর্শিদাবাদে মোট আসন ২২টি। রেজিনগরের বদলে রানিনগরে প্রার্থী হলেন হুমায়ুন কবীর। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
প্রয়াত জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের দুই ছেলেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তালিকায় নাম শুধু সৌমিক হোসেন।
বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর হাতেই তৈরি বলে পরিচিত নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল তৃণমূল।
নদিয়া জেলায় মোট আসন ১৭টি। কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়।
প্রাক্তন জেলা সভাপতি তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত প্রার্থী হতে পারলেন না।
উত্তর ২৪ পরগনায় মোট আসন ৩৩টি। ব্যারাকপুরে প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী।
টিকিট পেলেন না দুই মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ও অমিত মিত্র।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া গায়িকা অদিতি মুন্সি প্রার্থী হচ্ছেন রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রে।
পুরনো কেন্দ্র বারাসতে ফের প্রার্থী অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট আসন ৩১টি। রায়দিঘিতে টিকিট পেলেন না অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন বেহালা পূর্বে প্রার্থী হচ্ছেন কানন-জায়া রত্না।
সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন টেলি নায়িকা লাভলি মৈত্র।
টিকিট পেলেন না আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। নিজের কেন্দ্রেই প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতায় বড় বদলে ভবানীপুর কেন্দ্রে। এ বার প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাসবিহারীতে প্রার্থী দেবাশিস কুমার।
হাওড়ায় মোট আসন ১৬টি। শিবপুরে প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিটেটার মনোজ তিওয়ারি। ডোমজুড়ে প্রার্থী কল্যাণেন্দু ঘোষ।
চমক উলুবেড়িয়া পূর্ব আসনেও। এখানে প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু।
হুগলিতে মোট আসন ১৮টি। এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেন জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। পুরশুড়া আসনে টিকিট পাচ্ছেন তিনি।
সিঙ্গুরে এ বার প্রার্থী বেচারাম মান্না। প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ লড়বেন পান্ডুয়া কেন্দ্র থেকে। উত্তরপাড়ায় প্রার্থী অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।
পূর্ব মেদিনীপুরে মোট আসন ১৬টি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চণ্ডীপুরে প্রার্থী অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। তমলুকে জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
ঝাড়গ্রামে মোট আসন ৪টি। সব ক’টি আসনেই জনজাতি প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।
পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট আসন ১৪টি। রাজ্যসভার সাংসদ ও সবং থেকে দীর্ঘ সময়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া ফের ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী।
মেদিনীপুর কেন্দ্রে এ বার তারকা প্রার্থী তৃণমূলের। টিকিট পেলেন জুন মাল্য।
পুরুলিয়ায় মোট আসন ৯টি। ৫টি আসনেই নতুন প্রার্থী।
বাঁকুড়ায় মোট আসন ১২টি। সমীর চক্রবর্তীর জায়গায় তালড্যাংরায় প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।
বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ব বর্ধমানে মোট আসন ১৬টি। বর্ধমান দক্ষিণে মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের আসনে প্রার্থী খোকন দাস।
মন্তেশ্বরে এ বারেও প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
পশ্চিম বর্ধমানে মোট আসন ৯টি। আসানসোল দক্ষিণে প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। পাণ্ডবেশ্বরে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
বীরভূম জেলায় মোট আসন ১১টি। টিকিট পেয়েছেন দুই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বীরভূমে গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। পিছিয়ে ৫টি আসনে।