প্রতীকী ছবি।
কাঁধ একটা। দায়িত্ব অনেক। একদিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে জেলার বাকি আসনগুলির প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার দায়িত্ব। অন্যদিকে, নিজেও প্রার্থী হওয়ায় জয়ের চ্যালেঞ্জ। এই দ্বৈত দায়িত্বে ঘুম ছুটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌতম দাসের। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যে নিজের প্রচার সামলে অন্য কেন্দ্রে নজর দিচ্ছেন তিনি।
২০১৬ বিধানসভা ভোটে গৌতমই ছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের কংগ্রেস প্রার্থী। সেবার তৃণমূলের বিধায়ককে হারিয়ে জেলা রাজনীতিতে উল্কা গতিতে উঠে আসেন এই তরুণ নেতা। তারপর তৃণমূলের তৎকালীন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরেই দলে যোগ দেন গৌতম। ধীর স্থির শান্ত স্বভাব, সুবক্তা গৌতম তৃণমূলের বহুধা গোষ্ঠীতে বিভক্ত দলে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে ওঠেন।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হয়। মাস ছয়েক আগে সেই দায়িত্ব পেয়েই ময়দানে নেমে পড়েছিলেন। তারপর ভোট ঘোষণার পরে তাঁকে প্রার্থী করার পাশাপাশি জেলার বাকি পাঁচটি আসনে দলকে জিতিয়ে আনার দায়িত্বও দেওয়া হয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন গৌতমকে। সেই দায়িত্ব পালন করতেই এখন কার্যত ঘুম উড়েছে গৌতমের।
গৌতমের কথায়, প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিজের প্রচার সামলানোর পাশাপাশি বাকি আসনগুলিতে কেমন প্রচার চলছে, প্রার্থীদের সমস্যা হচ্ছে কি না সেইসব খোঁজ নিতে হচ্ছে। এই ‘চাপে’ দুপুরে বাড়িতে ফিরে খাবার সময় মিলছে না তাঁর। নিজের কেন্দ্র গঙ্গারামপুরে এই বছর সিপিএম প্রার্থী দেওয়ায় বামেদের গড় বলে পরিচিত এই কেন্দ্রে লড়াই কঠিন হয়ে পড়ছে।
তা নিয়েও ‘দুশ্চিন্তায়’ রয়েছেন গৌতম। তবে দিনের শেষে আশাবাদী তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। এবারের নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা প্রেক্ষিত, আঙ্গিকে হচ্ছে। তাই সবার কাছে কঠিন বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু আমরা সারাবছর যেহেতু মানুষের পাশে ছিলাম, তাই আমাদের জন্য লড়াই অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। আমরা সারাবছর পড়াশুনা করেছি, তাই পরীক্ষা নিয়ে ভাবছি না।’’