গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আগের তিন দফাতেও অশান্তির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাজ্যে চতুর্থ দফায় রক্তাক্ত হল নির্বাচন। কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু, প্রার্থীর উপর হামলা, জেলায় জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, অনিয়মের অভিযোগের মধ্যেই শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৬.১৬ শতাংশ।
ভোটদানের প্রবণতার হিসেব বলছে, হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা সত্ত্বেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলা কোচবিহার। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৯.৫৩ শতাংশ। পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারে ৭৩.৮৪ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলার মধ্যে ভোটদানের হারে হুগলি এগিয়ে। সেখানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭৫.৯৯ শতাংশ ভোটদাতা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। পাশের জেলা হাওড়াতে ৭৫.৩৫ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের আর এক জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনাও ভোটদানের হারে তেমন পিছিয়ে নেই। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেখানে ভোটদানের হার ৭৫.২৯ শতাংশ।
রাজ্যে প্রথম তিন দফার ভোটে বিপুল সংখ্যক ভোটদাতা অংশ নিয়েছিলেন। গত ২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮৪.৬৩ শতাংশ। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ৮৬.১১ শতাংশ এবং ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ৮৪.৬১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। প্রথম তিনটি দফায় বিক্ষিপ্ত হিংসা সত্ত্বেও বিপুল হারে ভোটদানে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল কমিশন।
রাজ্যে ৮ দফার বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফায় শনিবার কোচবিহার জেলার ৯ এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে ৯টি এবং হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসন রয়েছে এই তালিকায়।