ফাইল চিত্র
নন্দীগ্রাম থেকে কেশপুর, দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যের একাধিক ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। এই মর্মে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবকে ফোনও করেন তিনি।
নন্দীগ্রামে ভোট চলাকালীন দফায় দফায় গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও একাধিক গোলমালের খবর এসেছে। নন্দীগ্রামের সাতেঙ্গাবাড়িতে শুভেন্দুর কনভয় যাওয়ার সময় গোলমাল শুরু হয়। উল্টো দিকে নন্দীগ্রামেরই বয়ালে হাজির হন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ক্ষণ সেখানেই একটি বুথে বসে থাকেন মমতা। বুথে বসেই পরিস্থিতি নিয়ে ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে।
দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই নন্দীগ্রামে বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়া-সহ একাধিক এলাকা থেকে পর পর অভিযোগ যেমন সামনে আসে তেমনই কেশপুরেও বিজেপি প্রার্থী প্রীতীশরঞ্জন কুঁয়ারের উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়। গুণহারা অঞ্চলে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন। এর আগে কেশপুরের বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট তন্ময় ঘোষের গাড়িও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়। কেশপুরের সব ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিজেপি।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত জানতেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ফোন করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। প্রত্যেকটি ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন তিনি। পাশাপাশি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কমিশনের তরফে জেলা আধিকারকিদের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে খবর।