হুমকির ভিডিয়োর একটি মুহূর্তে পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হিংসা ছড়ানো এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনল বিজেপি-ও।
পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট চলাকালীন বুথের সামনেই এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও বিস্তারিত খোঁজখবর না করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি তৃণমূল।
শনিবার পুরুলিয়া সদর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজয়ের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যেখানে প্রকাশ্যে এক বিজেপি কর্মীকে তিনি বলছেন, ‘‘গুলি করে দেব।’’ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল।
প্রথম দফার নির্বাচনে পুরুলিয়ার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রেই ভোট ছিল। বিজেপি-র অভিযোগ, শনিবার ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের মুনসেপডাঙার ১২৭ নম্বর বুথে। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা চলছিল। সেখানেই ভিডিয়োতে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে হুমকি দিতে দেখা যায় তৃণমূলপ্রার্থীকে।
ইভিএমে কারচুপি নিয়ে সকাল থেকেই চলছিল তৃণমূল ও বিজেপির তরজা। তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, ইভিএমের প্রতি তিন নম্বর ভোট বিজেপি-তে পড়ছে। অন্য দলে ভোট দিলেও সেই ভোট যাচ্ছে বিজেপি-তেই। অন্যদিকে, বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। বুথে উপস্থিত প্রিসাইডিং অফিসারও জানান, ইভিএমে কোনওরকম কারচুপি হয়নি। ভোট ঠিকঠাকই পড়ছে। এ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরুলিয়া সদরের তৃণমূলের প্রার্থী সুজয়। সেখানেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাঁর।
বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চায়নি তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি নব্যেন্দু মোহালি বলেন, ‘‘কেন, কোন প্রেক্ষিতে তৃণমূল প্রার্থী ওই মন্তব্য করেছেন, তা না জেনে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’
এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের তরফেও রিপোর্ট তলব করেছে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল। তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে পুরুলিয়ার জেলাশাসককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।