জখম পুলিশ কর্তা ও জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে ওসি জখমের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার বিকেলের মধ্যেই এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশকে। আজ শনিবার, পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
শুক্রবার রাতেই পটাশপুরে বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে সেখানে বাহিনী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী। অভিযোগ, তখনই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম হন ওসি এবং আধা সেনার এক জওয়ান। তাঁদের প্রথমে এগরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পটাশপুরের ২ নম্বর ব্লকের আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্পর্শকাতর এলাকা বলেই পরিচিত। ভোটের আগের দিন সেখানে অশান্তির আশঙ্কা করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এলাকায় টহল দেওয়া পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই দলের উপরই দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে চাপানউতর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতির অভিযোগ, ‘‘আমাদের কয়েক জন কর্মীকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে পার্টি অফিসে আটকে রেখেছিল। ওসি-র নেতৃত্বে বাহিনী তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে।’’ অন্যদিকে, পটাশপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি মানস রায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এলাকায় বিজেপি-র দুষ্কৃতীরাই জমায়েত করছিল। এর সঙ্গে ওরাই যুক্ত।’’
শনিবার সকালে এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওযার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন সূত্র খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার বিশদ রিপোর্ট জমা করার তোড়জোড় শুরু করেছে পুলিশ। আটক করে জেরা করা হচ্ছে চার দুষ্কৃতীকে।