কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছবি: পিটিআই
ভোটের দিন দুপুর গ়ড়াতেই নির্বাচন কমিশনে ধন্যবাদ জানাল বিজেপি। প্রথম দফায় রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট পরিচালনা করার জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলেন বিজেপি নেতারা। কমিশন দফতর থেকে বেরিয়ে এসে রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন, ‘‘এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গ শেষ ৪ দশকে দেখেনি। প্রথম দফার ভোটে ৯০ শতাংশ বুথে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে কিছু দুষ্কৃতীর জন্য। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সেই দুষ্কৃতীদের বন্দি করতে পারলে ১০ শতাংশ গোলমালটাও হবে না।’’
কমিশনে যাওয়া বিজেপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিংহ, শিশির বাজোরিয়ারা। কৈলাস বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি প্রথম দফার ভোট দেখে সন্তুষ্ট। তাঁর কথায়, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু ভোট চলাকালীন আক্রান্ত হয়েছেন। আশা করছি, দ্বিতীয় দফার ভোটে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। তার জন্য যারা তালিকাভূক্ত অপরাধী, তাদের যেন বন্দি করা হয়। তা হলে আরও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। রাজ্যের চার দশকের ভোটের ক্ষেত্রে যা একটা ইতিহাস তৈরি করবে।’’
ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কৈলাসরা একটি তালিকাও জমা দিয়েছেন কমিশনে। সেখানে অপরাধীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নন্দীগ্রামে থাকা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কৈলাস। এ ছাড়া কৈলাসের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল শেষ ৪-৫ দিনে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে। ৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ জন বিজেপি কর্মীর। এখনও পর্যন্ত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। একাধিক জায়গায় ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তৃণমূলের পুলিশের অভ্যাস এমনই। এই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রেও আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।’’
সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ নিয়ে কৈলাস জানান, ‘‘আমরা জানি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে থেকে তাঁর সরকারের বিরোধিতা করতে গেলে আমাদেরও পাথরের আঘাত সহ্য করতে হবে। আমার এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকি।’’
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে টুইট করেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠক) বি এল সন্তোষ। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উৎসাহজনক খবর পাচ্ছি। ভোটাররা বুথে ভিড় করছেন উৎসাহ নিয়ে। ঝাড়গ্রাম, রামনগর-সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু লাভ হয়নি। আগামী ৭ দফার ভোটের ক্ষেত্রে এটি মনের জোর বাড়াতে সাহায্য করবে’।