ভাঙচুর করা হয়েছে সৌম্যেন্দুর গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে। সেই কেন্দ্রের সাবাজপুটে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে হামলা হল বিজেপি নেতা সৌম্যেন্দু অধিকারীর গাড়িতে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর গাড়ির চালক রামগোবিন্দ সিংহ। তবে গুরুতর আঘাত পাননি সৌম্যেন্দু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল রিগিং চালাচ্ছে খবর পেয়ে এখানে এসেছি। তখনই আমার উপর হামলা চালানো হল।’’ যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বাইরের লোক এনে গন্ডগোল করার জন্যই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে সৌম্যেন্দুর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন প্রধান ছিলেন সৌম্যেন্দু। দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্রে তিনিই বিজেপি-র এজেন্ট। সকাল থেকেই ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। ‘তৃণমূল রিগিং করছে’— এই খবর পেয়ে তিনি এসেছিলেন সাবাজপুট সম্বেধি শিক্ষাতীর্থ স্কুলে। সেখানে ২০৫, ২০৬ এবং ২০৭ নম্বর বুথ রয়েছে। সেখানে ঢোকার মুখেই তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ সৌম্যেন্দুর। তিনি জানিয়েছেন, আহত বিজেপি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সৌম্যেন্দুর গাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার না করলেও, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি গণ্ডগোল করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নমিতা রায়। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে সকাল থেকে গণ্ডগোল করছিল। তৃণমূলকর্মীরা বিষয়টি বলতেই বাইরে থেকে আসা বিজেপি-র লোকেরা মারধর করে আমাদের। শান্তিপূর্ণ ভোটে বাধা দেওয়ার জন্যই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতে হামলা করেছে।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৌম্যেন্দু। বলেছেন, ‘‘বুথে আমি একাই গিয়েছি। একাই বেরিয়ে এসেছি।’’ শনিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানিয়েছেন সৌম্যেন্দু।
ঘটনার পর সেখানে পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতির্ময় কর। তিনি দ্রুত ভোট শুরু করার জন্য আবেদন করেন। প্রচুর পুলিশ বাহিনীও পৌঁছেছে সেখানে।