ফাইল ছবি
প্রথম দফা ভোটের আগে বৃহস্পতিবারই প্রচারের শেষ দিন। শেষবেলার প্রচারকে কাজ লাগাতে চারটি সভার কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুই জেলার ৪ জনসভার প্রথমটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়।
পাথরপ্রতিমার কলেজ মাঠে প্রথম সভার পর পরেরটি ওই জেলারই গঙ্গাসাগর মেলার মাঠে। তারপরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চলে যাবেন মমতা। প্রথম সভাটি দাঁতনে, তালদা রতনচক অঞ্চলে। পরের সভাটি মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে, অর্থাৎ প্রার্থী জুন মালিয়ার হয়ে বিড়লা মাঠে।
এক নজরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য:
• রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হারতে জানে না। বিজেপি-কে ইঁদুরে পরিণত করবে।
• খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে।
• এখন আবার নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাচ্ছে। কোনও দিন দেশটার নাম পাল্টে দেবে।
• বিজেপি হচ্ছে বহিরাগত গুন্ডাদের পার্টি। বহিরাগত দুর্যোধনের পার্টি। জঞ্জালের পার্টি। এনপিআরের পার্টি। ১ এপ্রিল ওদের এপ্রিল ফুল করে দিন।
• বিনা পয়সায় গ্যাস-কেরোসিন চাই। দিদি তো বিনা পয়সায় চাল দেয়, কন্যাশ্রী-রূপশ্রী করে দেয়। তাই বলছি, খেলা হবে।
• বছরে দু’বার করে চারমাস দুয়ারে সরকার হবে। দুয়ারে সরকারের জন্য অগস্ট-সেপ্টেম্বরে শিবির হবে। ক্ষুদ্র শিল্পে আরও ১ কোটি ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
• ১০০ দিনের কাজে আমরা ১ নম্বর।
• আর একটা স্কিম করছি। ক্লাশ টেনে উঠলে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্রেডিট কার্ড পাবে পড়ুয়ারা।
• এই নির্বাচনটা দিল্লির নয়, এটা বাংলার। কিছু বহিরাগত গুন্ডার বাইরে থেকে এসেছে।
• আমাকে একবার দল থেকে বলেছিল, দিদি তুমি কী করে যাবে? তবে আমার মা-বোনেদের তো দুটো পা আছে। আমার তো একটা পায়ে চোট। মা-বোনেরা দুটো পা দিয়ে আমাকে এগিয়ে দেবে। ভাঙা পায়েই যা খেলব না, বিজেপি-কে বোল্ড আউট করে দেব।
• যে সিপিএম, সেই বিজেপি। যে কংগ্রেস, সেই বিজেপি।
• পিএম কেয়ার্সের নামে টাকা তুলছ। কোথায় গেল টাকা? কেউ পায়নি। রেল বিক্রি করছ। সেল বিক্রি করছ।
• আমরা ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ পুঁতছি।
• বুলবুলের সময় ২০ লক্ষ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত মানুষদের জন্য কোনও সাহায্য করেনি। নরেন্দ্র মোদী একদিন ঢং করে দেখতে এল। বলল,১ হাজার কোটি টাকা দেব। ওটা রাজ্য সরকারের প্রাপ্ত টাকা। এক পয়সাও দেয়নি। মাছের তেলে মাছ ভাজা। আমরা আমপানের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ২১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য ২০০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য।
• আমি বিজেপি-র মতো দাঙ্গাবাজ নই, ধান্দাবাজ নই।