ভোট-প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
নোটবন্দি থেকে অতিমারি, একাধিক ইস্যুতে ছাতনার সভা থেকে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি একটা রাজনৈতিক দল। শুধু দাঙ্গা লাগায়। লুঠ করে। গুন্ডামি করে। টাকার ভাণ্ডার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নোটবন্দিতে মানুষের টাকা লুঠ করেছিল। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব নেই। ভোটে জেতার জন্য সেই টাকা ৫০০, ১০০০, ৫০০০ টাকা করে বিলি করছে। এটা আপনাদের টাকা। বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে এলে ভোটবাক্স উল্টে দেবেন।’’
নীলবাড়ির লড়াইয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচন কমিশন-কে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। আমার সন্দেহ, তিনিই সব কিছু চালাচ্ছেন। এমন যদি চলতে থাকে, তাহলে দেশটা বিক্রি হয়ে যাবে।’’
ভোটের আগে একে একে তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষালের মতো একাধিক নেতা। সরাসরি কারও নাম করলেও, মমতা বলেন, ‘‘সিপিএম থেকে আসা কিছু গুন্ডা আমাদের দলেও ছিল। কিছু মিরজাফর, বিশ্বাসঘাতক ছিল। তাড়ানোর আগেই চলে গিয়েছে। বেঁচে গিয়েছি আমি। তৃণমূল এখন মানুষের দল।’’
সরাসরি আপডেট—
• ০২.২৫: সিপিএম থেকে আসা কিছু গুন্ডা আমাদের দলেও ছিল। কিছু মিরজাফর, বিশ্বাসঘাতক ছিল। তাড়ানোর আগেই চলে গিয়েছে। বেঁচে গিয়েছি আমি। তৃণমূল এখন মানুষের দল। মনে রাখবেন বিজেপি-র অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার একটা লোকও যদি না থাকে দেশে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন: মমতা।
• ০২.২৪: নির্বাচন কমিশনের প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। আমার সন্দেহ, তিনিই সব কিছু চালাচ্ছেন। এমন যদি চলতে থাকে, তাহলে দেশটা বিক্রি হয়ে যাবে। নিজের নামে স্টেডিয়াম গড়েছেন মোদী। দেশটাও নিজের নামে করে নেবে: মমতা।
• ০২.২২: পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কৃষকরা মাসের পর মাসে বসে রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই বিজেপি-র। অথচ বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারার চেষ্টা করছে। কাল তো ওদের সভাতেও লোক হয়নি। সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে: মমতা।
• ০২.২০: আগামী দিনে নাসিক থেকে আর পেঁয়াজ আনব না আমরা। বাংলাতেই উৎপাদন করব। নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বাংলার কৃষকদের অধিকার লুঠ করতে দেব না। রেল, ব্যাঙ্ক, কোল ইন্ডিয়া, বিএসএনএল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। জীবন বিমার ৭৫ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কে টাকা রেখে ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই: মমতা।
• ০২.১৮: গার্ডেন রিচে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। গুলিটা আমার কপালে এসে লাগত। কিন্তু আখতার নামের একটি মুসলিম ছেলে আমাকে আড়াল করতে এগিয়ে আসে। গুলিটা তার হাতে লাগে। সেই আখতার আমাদের বাড়িও গিয়েছিল। এই আমাদের বাংলা। এখানে নানা ভাষা, নানা পরিধানের মানুষ মিলেমিশে বাস করি: মমতা।
• ০২.১৬: প্রার্থী যে-ই হোন, এই ভোট আমার ভোট। আপনারা ভোট না দিলে আর সরকার গড়তে পাব না। সব প্রকল্প আটকে যাবে। বিজেপি কিচ্ছু করবে না: মমতা।
• ০২.১৩: বিনাপয়সায় যাতে সকলে প্রতিষেধক পান, অনুরোধ করেছিলাম দিল্লিকে। বলেছিলাম যা টাকা লাগবে আমরাই দেব। কিন্তু কথা শোনেনি দিল্লি সরকার: মমতা।
• ০২.১২: বিজেপি একটা রাজনৈতিক দল। শুধু দাঙ্গা লাগায়। লুঠ করে। গুন্ডামি করে। টাকার ভাণ্ডার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নোটবন্দিতে মানুষের টাকা লুঠ করেছিল। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব নেই। ভোটে জেতার জন্য সেই টাকা ৫০০, ১০০০, ৫০০০ টাকা করে বিলি করছে। এটা আপনাদের টাকা। বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে এলে ভোটবাক্স উল্টে দেবেন: মমতা।
• ০২.০৭: কোভিডের সময় বাঁকুড়া থেকে কত মানুষ ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন। বাস পাঠিয়ে তাঁদের ফিরিয়ে এনেছিলাম আমি। তখন কোথাও দেখা যায়নি বিজেপি-কে। রাস্তায় গোল্লা কেটেছি। মানুষের কাছে গিয়েছি। তার পরেও কিন্তু আমার কোভিড হয়নি। মানুষের আশীর্বাদ হয়ত: মমতা।
• ০২.০৫: বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। বোর্ডের পরীক্ষায় একেবারে উপরের দিকে তাঁদের নাম থাকে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি আমরা: মমতা।
• ০২.০৩: ১০ লক্ষ নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করব। তাদের ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেব। ছাত্র যৌবনদের জন্য ঢেলে কাজ করা হচ্ছে: মমতা।
• ০২.০০: এই ভোটটা আমার ভোট। আমি থাকব কি না, তার ভোট। এটা বিজেপি-র ভোট নয়। দিল্লির ভোট নয়: মমতা।
• ০২.০০: আঘাত আমার কাছে হেরে যাবে, আমি আঘাতের কাছে হারব না। আমার এই কষ্ট অন্য কোনও কাজে নয়, বাংলা মা-কে রক্ষা করার জন্য: মমতা।
• ০১.৫৮: পায়ে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে, ব্যথা হচ্ছে, কারণ মানুষের পায়ের হাড়ই সবচেয়ে মোটা হাড়। অনেকটা রক্তও জমে রয়েছে। কষ্ট করেই আসতে হয়েছে। কিন্তু আমি না এলে হার্মাদরা সব নষ্ট করে দেবে: মমতা।