নিজস্ব চিত্র।
ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সেই কারণেই শোকে অসুস্থ বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরের কাটাপুকুর এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এই সংঘর্ষে আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন। পুলিশ এই ঘটনার জেরে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যেই এক জন শঙ্কর সাউ। মঙ্গলবার তাঁর অসুস্থ বাবা রামচন্দ্র সাউ মারা গিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অকারণে শঙ্করকে ধরা হয়েছে। ওষুধ না পেয়ে এবং শোকের কারণেই রামচন্দ্র মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, শেষকৃত্য করার জন্য অবিলম্বে শঙ্করকে ছেড়ে দিতে হবে।
এলাকার বাসিন্দা অজয়কুমার পাসোয়ানের দাবি, ‘‘যে কোনও ঘটনায় জড়িত নয় তাকেই পুলিশ তুলে নিল। আর মূল অপরাধী ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনও ফুটেজে শঙ্করের ছবি নেই। তবু বাবার ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় ওকে তোলা হল।’’ আর এক প্রতিবেশী বচ্চন সাউয়ের দাবি, ‘‘পুলিশ অবিলম্বে শঙ্করকে ছাড়ুক। নইলে আমরা বড় আন্দোলনে যাব।’’
মৃতের পরিবারের সদস্য সুনীতা সাউ বলেন, ‘‘খোকন দাসের ইশারায় একজন নিরীহ মানুষকে আটক করা হল। যার বাবা অসুস্থ, সে কী করে ঝামেলায় জড়াবে। আমরা অসুস্থ বাবার ছবি পাঠালাম। তা-ও প্রশাসন মানল না। এখন বাবার শেষকৃত্য কী করে হবে?’’
এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, ‘‘আক্রমণ করল তৃণমূল কর্মীরা। আর জেল খাটছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দলদাসের চূড়ান্ত নমুনা।’’
যদিও এর জবাবে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কে নির্দোষ, আর কে দোষী, তা পুলিশ প্রশাসন ঠিক করবে। কী কারণে মারা গিয়েছেন জানি না। তবে মৃত্যু তো কাম্য নয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’