মতুয়া মন জয় করতে গাইঘাটা কেন্দ্রে ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সম্পর্কে তিনি বিজেপি-র সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ভাই। মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় ছেলে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন সুব্রত।
সুব্রতর হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর হাতে কোনও নগদ টাকা নেই।
সুব্রতর ব্যাঙ্কে সঞ্চয়ও নামমাত্র। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে রয়েছে ২ হাজার টাকা করে। তবে স্ত্রীর ব্যাঙ্ক সঞ্চয়ের কথা উল্লেখ নেই হলফনামায়।
সুব্রত এবং তাঁর স্ত্রী কারও শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ নেই।
জীবনবিমা, ডাকঘরে ২ লাখ টাকা রয়েছে তাঁর। এগুলিতে অবশ্য স্ত্রীর কোনও সঞ্চয়ের কথা উল্লেখ নেই। ৩ লাখ টাকার একটি ওমনি বাস রয়েছে তাঁর।
এ ছাড়া তাঁর কাছে সোনা-সহ মোট ১৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিস রয়েছে। তাঁর স্ত্রীরও ১৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিস রয়েছে।
সুব্রতর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২১ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা।
একটি মাত্র বাড়ি ছাড়া আর কোনও জায়গা-জমি নেই বলেই হলফনামায় উল্লেখ করেছেন সুব্রত।
ঠাকুরনগরের ওই বাড়িটির মূল্য ২০ লাখ টাকা। কত পরিমাণ জমির উপর বাড়িটি রয়েছে সেটির উল্লেখ নেই হলফনামায়।
অর্থাৎ স্থাবর সম্পত্তি বলতে শুধুমাত্র ওই বাড়িটিই রয়েছে তাঁর।
হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে স্নাতক সুব্রত এবং তাঁর স্ত্রীর কোনও ব্যাঙ্ক ঋণ নেই। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকেও ধার নেননি তাঁরা।