EVM

WB Election Results: গণনা পদ্ধতিতে পরিবর্তন হচ্ছে, বিলম্ব হতে পারে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায়

গণনা শুরুর আগে ইভিএমের ৩টি ভিন্ন ধরনের সিল খুলতে হয়। সুইচ অন করলেই স্ক্রিনের উপর ২টি বিকল্প (অপশন) আসবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২১ ১৫:৫৫
Share:

ভোট শেষ। এ বার চোখ গণনার দিকে। গণনাকেন্দ্রগুলিতে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে অন্য বারের থেকে এ বারের গণনা পদ্ধতির কিছু পার্থক্য রয়েছে। মূলত কোভিডের জন্যই সেই পার্থক্য বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ১০৮টি গণনাকেন্দ্রের জন্য কাউন্টিং হলের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কাউন্টিং হল ছিল ৩৮৫টি। এখন তা বেড়ে হচ্ছে ৭০৬টি। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে এ বারের গণনায়।

Advertisement

রবিবার, ২ মে রাজ্যের ২৯২টি আসনের ভোট গণনা। এর জন্য ২৩টি জেলায় তৈরি করা হয়েছে ১০৮টি গণনাকেন্দ্র। প্রতি কেন্দ্রে এক বা তার বেশি আসনের গণনা হবে। গণনা শুরু হবে রবিবার সকাল ৮টা থেকে। প্রথমে ব্যালট পেপার গণনা হবে। তার ৩০ মিনিট পর শুরু হবে ইভিএমের গণনা। একটি কাউন্টিং হলে সাধারণত ১৪টি টেবিল থাকে। প্রতিটি টেবিলে একটি করে ইভিএমের গণনা হবে। অর্থাৎ ১৪টি টেবিলে ১৪টি ইভিএম থাকবে। ১৪টি ইভিএমের গণনা সম্পন্ন হলে তাকে এক রাউন্ড গণনা বলা হয়। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কমিশনের পরিকল্পনা মতো তাতে পরিবর্তনও হতে পারে। অর্থাৎ এক রাউন্ডে ১৪টির বেশি বা কম ইভিএম গণনা হতে পারে। যেমন এই বার করোনার পরিস্থিতির জন্য একটি হলে গড়ে ৭টি টেবিল থাকবে। ফলে সে ক্ষেত্রে রাউন্ডের পরিবর্তন হবে। কমিশন সূত্রে খবর, দূরত্ববিধি বজায় রাখতে কাউন্টিং হল ও টেবিলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে রাউন্ডের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আসবে। গণনা সর্বনিম্ন ১৭ রাউন্ড এবং সর্বোচ্চ ৩০ রাউন্ড ধরে হতে পারে। ফলে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

ভোট গণনার নির্দিষ্ট কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। সেগুলো অবলম্বন করেই গণনা করতে হয়। গণনা কক্ষের ভিতরে একই লাইনে পর পর কাউন্টিং টেবিলগুলো রাখা হয়। তারপর রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিতে স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম নিয়ে আসেন কাউন্টিং এজেন্টরা। স্ট্রং রুমের বাইরে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। তবে একসঙ্গে সব ইভিএম নিয়ে আসা হয় না। গণনাকক্ষে যতগুলি কাউন্টিং টেবিল থাকে, একবারে তত সংখ্যক ইভিএম আনা যায়। ওই ইভিএমগুলির গণনা সম্পন্ন হলে তার পর আবার স্ট্রং রুম থেকে নতুন ইভিএম নিয়ে আসা হয়। এই ভাবে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকে।

Advertisement

কাউন্টিং টেবিলে ইভিএমের সঙ্গে থাকে সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটার তালিকা। গণনা শুরুর আগে ইভিএমের ৩টি ভিন্ন ধরনের সিল খুলতে হয়। প্রথমে গণনার পূর্বে ইভিএম মেশিনগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। সব ঠিক থাকলে গণনা পর্যবেক্ষকের পরামর্শ নিয়ে ইভিএম অন করা হয়। সুইচ অন করলেই স্ক্রিনের উপর ২টি বিকল্প (অপশন) আসবে। একটি রেজাল্টের, অন্যটি প্রিন্টের। রেজাল্টে ক্লিক করলেই দেখা যাবে ওই বুথে কত ভোট পড়েছে এবং কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন। এর পর তা নোট ডাউন করতে হয় মাইক্রো অবজার্ভারদের। একই সঙ্গে উপস্থিত থাকা রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের তা দেখানো হয়। তবেই একটি ইভিএম তথা বুথের গণনার কাজটি সম্পন্ন হয়। এই ভাবেই চলে ওই বিধানসভা আসনের বুথ অনুযায়ী পর পর গণনা। প্রতি রাউন্ড গণনার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ভোট গণনার কাজে যুক্ত থাকেন গণনা পর্যবেক্ষক, গণনা সহকর্মী, মাইক্রো অবজার্ভার, কাউন্টিং এজেন্ট, প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্ট। এ ছাড়া অন্য কেউ কমিশনের অনুমতিপত্র ছাড়া গণনাকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে কাউন্টিং হলে ঢোকার মুখে এবং স্ট্রং রুমের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০৮টি গণনাকেন্দ্রের জন্য ২৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। সাধারণ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ২৯২ জন। এ ছাড়া বুথের বাইরে নজরদারির জন্য থাকবেন ১৫ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement