জার্সি বদলে বিজেপি-তে যাওয়া বিধায়কদের চার জনকে তাঁদের নিজের নিজের কেন্দ্রেই প্রার্থী করল বিজেপি। রবিবার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তালিকায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, প্রবীর ঘোষাল, দীপক হালদারের মতো প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রীর পাশাপাশি রয়েছে আরও ৭ দলছুট নেতানেত্রীর নাম।
বিজেপি সূত্রে খবর, জয়ী প্রার্থীরা এই শর্তেই দল ছেড়ে বিজেপি-তে এসেছিলেন যে তাঁদের পুরনো কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিজেপি সেই শর্তের মান রেখেছে বলে সেই সূত্রের দাবি। যদিও বৈশালী ডালমিয়ার নাম রবিবার ঘোষণা করা হয়নি। একই দিনে রাজীব, প্রবীরের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হাওড়ার বালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বৈশালী। বালির প্রার্থীর নাম এ দিন ঘোষণাই করা হয়নি।
রাজ্যের তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ৭৫ আসনের মধ্যে রবিবার ৬৩ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে দলছুটের সংখ্যা ১০।
রবিবার হুগলির উত্তরপাড়ায় প্রবীর এবং সিঙ্গুরের প্রার্থী হিসেবে রবীন্দ্রনাথের নাম জানিয়েছে বিজেপি। ডোমজুড়ে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে রাজীবের নামও। রবীন্দ্রনাথ সিঙ্গুরের বিধায়ক ২০০১ সাল থেকে। সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনিই। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। তবে ইদানিং দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাঁর।
গত ১০ বছর ধরে ডোমজুরের বিধায়ক প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব। মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রবীর ছিলেন উত্তরপাড়ার জয়ী বিধায়ক। গত ৩০ জানুয়ারি প্রবীর, রাজীব এবং বৈশালী দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন। ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের হয়ে জেতা বিধায়ক দীপককেও নিরাশ করেনি বিজেপি।
দল বদলে বিজেপি-তে যাওয়া বাকি প্রার্থীরা হলেন শান্তনু বাপুলি (রায়গিঘি), দিলীপ জাটুয়া (মন্দিরবাজার), অর্ণব রায় (ক্যানিং পশ্চিম), সমীরণ মিত্র (হরিপাল), বিশ্বনাথ কারক (গোঘাট) এবং রিঙ্কু নস্কর। এঁদের মধ্যে রিঙ্কু সিপিএম থেকে এবং বিশ্বনাথ ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বিজেপি-তে যান। বাকিরা সবাই তৃণমূল থেকে।