আক্রান্ত ওই আশাকর্মী। -নিজস্ব ছবি।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে সাড়ে ৫ ঘণ্টা বুথে কাটানোর পর টনক নড়ল কমিশনের। কমিশনের হস্তক্ষেপে শেষে বাড়ি পাঠানো হল করোনা আক্রান্ত ওই আশাকর্মীকে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। যদিও তার পরও ফের চরম অব্যবস্থার ছবিই ধরা পড়ল মালদহ বিধানসভার ১৭০ নম্বর বুথে। কারণ তাঁর পরিবর্তে ভোটের ডিউটিতে যাঁর নাম পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে, বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেই মহিলার দেখা মেলেনি বুথে।
সকালে একপ্রকার বাধ্য হয়েই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মালদহ বিধানসভার ১৭০ নম্বর বুথে ডিউটি করতে যান ওই আশাকর্মী। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁকে বুথেই বসিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের নজরে আসার পর কমিশনের হস্তক্ষেপে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। তাঁর পরিবর্তে পম্পা সাহা নামে অন্য এক আশাকর্মীকে ওই বুথে নিয়োগ করে কমিশন। কিন্তু সেখানেও কমিশনের অব্যবস্থার ছবিই উঠে আসে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পম্পা নামে ওই আশাকর্মী বুথে এসেই পোঁছলেন না।
করোনা আক্রান্ত ওই আশাকর্মীর দাবি, করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও—সকলের দরজায় ঘুরেও সুরাহা তো দূর অস্ত্, উল্টে ভোটের ডিউটি করতেই হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। এমনকি শোকজ চিঠিও ধরানো হয় বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়েই অসুস্থ শরীরে নিয়ম বিধির তোয়াক্কা না করে ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।