নিজস্ব চিত্র।
জমির মালিককে না জানিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছিল একদল ব্যক্তি। বিষয়টি নজরে আসতে প্রতিবাদ করায় জমির মালিককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানার আমগাছিয়া অঞ্চলের কৃষ্ণরামপুর গ্রামে। জমির মালিক অনুপ পণ্ডিতের অভিযোগ, শুক্রবার তিনি দেখেন তাঁকে না জানিয়েই তাঁর জমি থেকে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে নিমাই নস্কর, মহাদেব পাহান, বাসুদেব হাজরা-সহ বেশ কয়েকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন অনুপ। তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে অনুপ-সহ বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
অনুপের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতাদের মদতেই প্রকাশ্যে এই কাজ করে চলেছে দুষ্কৃতীরা। বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি-র ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়কের মদতে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জমি মাফিয়ারা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কারবার চললেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের দলের এক কর্মীর জমিতেও মাটি কাটছিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়াতেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
বিজেপি-র অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। বিষ্ণুপুরের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। মিথ্যে রটিয়ে প্রচারে আসার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এমনিতেই ভোটের ফল বের হলে চোখে সর্ষে ফুল দেখবে বিজেপি। তখন সব বাড়াবাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।’’