এই কলেজেই তৈরি হয়েছে স্ট্রংরুম। —নিজস্ব চিত্র
ইভিএম রয়েছে এমন স্ট্রংরুমের সিসিটিভি বন্ধ দীর্ঘক্ষণ। এ বার এমনই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ। জোড়াফুল শিবিরের এই অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি কমিশন। তবে গোপালের অভিযোগ খণ্ডন করেছে বিজেপি।
বনগাঁর দীনবন্ধু কলেজে তৈরি হয়েছে স্ট্রংরুম। গোপালের অভিযোগ, শনিবার ওই কলেজের সিসিটিভি দীর্ঘক্ষণ ধরে বিকল ছিল। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করছিল না। বিষয়টি নিয়ে বনগাঁর মহকুমাশাসককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি বলে গোপালের দাবি। এমনকি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও ওই সময়ে দলের কাউকে ওই কলেজে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে গোপালের অভিযোগ। ওই কলেজেই রয়েছে বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ এবং গাইঘাটা এই চারটি বিধানসভা (এসি ৯৪, ৯৫, ৯৬ এবং ৯৭) কেন্দ্রের ইভিএম। কমিশনকে লেখা চিঠিতে গোপাল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখে কোনও কুকর্ম করা হতে পারে বলে আমাদের মনে সন্দেহ জাগছে।’ তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বনগাঁ বিডিও-র দফতরের কর্মীদের একাংশ স্বীকার করে নিয়েছেন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বন্ধ থাকার কথা।
গোপালের অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব দেয়নি কমিশন। তবে গোপালের দাবি, কমিশন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে গোপালের অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘গোপাল শেঠ এখন একটা কমপ্লেন বক্স হয়ে গিয়েছে। হেরে যাবেন বুঝতে পেরেই এমন অভিযোগ তুলছেন তিনি।’’