সিউড়িতে জেলা প্রশাসন ভবনে পরিদর্শন। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
গোলমাল থামছেই না নানুরে। ফের কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বাড়িত বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক আক্রোশে জমির ফসল নষ্টেরও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ ‘সাজানো ঘটনা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে নানুরের বাসাপাড়ায় বিজেপি-র পথসভা এবং মিছিল ছিল। সেই মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের পার্টি অফিস দখলের পাল্টা অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ওই মিছিলে যোগ দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে নানুরের বিভিন্ন গ্রামে বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলও বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’তরফে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
বুধবার রাতেও সাঁতরা গ্রামে বেশ কিছু বিজেপির কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি-র দাবি, তাদের দুই কর্মী বচন মাঝি এবং মঙ্গলদেব মাঝি বুধবার একটি মামলায় জামিন পেয়ে বাড়ি ফেরেন। সেই রাতেই ওই দু’জনের বাড়িতে হামলা হয়। বচনের অভিযোগ, ‘‘রাত ১২ নাগাদ আমরা ঘুমিয়েছিলাম। সেই সময় আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। সকালে উঠে দেখি একটা বোমা পড়ে রয়েছে। জমি থেকে লঙ্কা আর কচুগাছ উপড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’
বিজেপি-র স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের কোর কমিটির সদস্য অনুপ গড়াই বলেন, ‘‘ওরা আমাদের ভাল সংগঠক । তাই তৃণমূল ওদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেলে আটকে রাখতে চেয়েছিল। জামিন পেয়ে যাওয়ায় ফের ভয় দেখাতে বাড়িতে বোমাবাজি করে।’’ ঘটনাচক্রে ওই গ্রামেই বাড়ি তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের। বিজেপি-র অভিযোগ নস্যাৎ করে তিনি বলেন, ‘‘ওই দুই বিজেপি কর্মী বোমাবাজি-সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছিল। ফিরে এসে আমাদের কর্মীদের ফাঁসাতেই ওই সব নাটক করেছে।’’
পুলিশ জানায়, বোমাটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।