অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে ক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছে। কেউ দলত্যাগ করছেন, তো কোথাও আবার পছন্দসই প্রার্থীকে টিকিট না দেওয়ায় কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এই তালিকা থেকে বাদ গেল না অনুব্রত মণ্ডলের ‘গড়’ বীরভূম জেলাও। এই জেলার ১১টি কেন্দ্রের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীদের নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ব্যতিক্রমী এই জেলারই দু’টি কেন্দ্র— নলহাটি এবং দুবরাজপুর।
এই দু’টি কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ ইতিমধ্যেই বিরোধিতা শুরু করে দিয়েছেন। আগের নির্বাচনে দুবরাজপুরে প্রার্থী ছিলেন নরেশচন্দ্র বাউরি। এ বার সেখানে প্রার্থী হয়েছেন অস্মিতা ধীবর। অন্য দিকে, নলহাটিতে এ বার মইনউদ্দিন সামসের পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয়েছে রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহকে। এ বার তাঁকে প্রার্থী না করায় দল ছেড়েছেন সামস। নরেশচন্দ্রর সমর্থকরাও নতুন প্রার্থীকে মানতে নারাজ। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। এমনকি, দুই প্রার্থী বদলের আর্জি জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে দরবারও করেছেন কর্মী সমর্থকরা। যা নিয়ে প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি।
শুধু প্রার্থী বদলের দাবিতেই থেমে থাকেননি কর্মী সমর্থকরা। প্রার্থীদের হয়ে দেওয়াল লিখনেও কর্মীরা নাকি যেতে চাইছেন না বলেও দলের একাংশ দাবি করেছেন। দলের ভিতরেই এই প্রার্থী ঘিরে দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা নেতৃত্বও। বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি তথা দুবরাজপুরের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। দুবরাজপুরেও নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে৷ সেই কেন্দ্রের প্রার্থীকে নিয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সভাও করেছেন। কিন্তু দলীয় কর্মীদের একাংশ মানতে চাইছেন না প্রার্থীকে৷ সেই কারণে জেলা সভাপতির কাছে প্রার্থী বদলের আবেদন করেছেন তাঁরা৷” দল এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও দাবি মলয়ের। এখন এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী বদল হয় কি না, সে দিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির।