n রানিগঞ্জে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। —নিজস্ব চিত্র
কোভিড-পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
গলসির ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী নন্দলাল পণ্ডিতের সমর্থনে সোমবার কাঁকসার হাটতলা এলাকায় প্রচারে যান তিনি। জনসভা ও রোড-শো করেন। সেখান থেকে করোনা-পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই সরকার ‘ব্যর্থ’ বলে তোপ দাগেন তিনি। চড়া সুরে বেঁধেন তৃণমূল ও বিজেপিকে। তবে মীনাক্ষীর অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল ও বিজেপি।
এ দিন, মীনাক্ষীর টিপ্পনী, ‘‘মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলছে না। অথচ, দুই সরকারেরই ভোট-ভিক্ষা করার টাকা আছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখনও তৃণমূলের অনেক নেতাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তাঁরা সকলেই বলছেন, দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। তাই, বিজেপিতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে এক অর্থে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া।’’
এ দিকে, রানিগঞ্জেও সিপিএম প্রার্থী হেমন্ত প্রভাকরের সমর্থনে সভা করেন মীনাক্ষী। সেখানে ছিলেন, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এখান থেকে ‘স্কুল সার্ভিস’ কমিশন ও ‘টেট’ পরীক্ষায় স্বচ্ছতার দাবি তোলেন মীনাক্ষী। পাশাপাশি, পেট্রপণ্যের দামবৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বিলগ্নিকরণ নিয়েও সরব হন। করোনার সময়ে কাজ হারানো মানুষের পাশে কেন্দ্র দাঁড়ায়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সূর্যকান্তবাবুরও তোপ, ‘‘যা তৃণমূল, তা-ই বিজেপি। তাই, বিকল্প
সংযুক্ত মোর্চা।’’
যদিও তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমানের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের তোপ, ‘‘সিপিএম এখন অপ্রাসঙ্গিক। সুতরাং, ওঁদের নেতা-নেত্রীরা ভিত্তিহীন কী কথা বলছেন, তার কোনও গুরুত্ব নেই।’’ বিজেপির বর্ধমান (সদর) জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, ‘‘করোনা-পরিস্থিতির মোকাবিলায় গোটা বিশ্বের সমীহ আদায় করেছে মোদীজির সরকার। পাশাপাশি, শিল্পক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর নতুন দিশা দেখা যাচ্ছে। শিল্পবিরোধী একটি দল তাই কী বলল, তার কোনও অর্থ নেই।’’