দুর্গাপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের ন’টি কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীরা। ছবি: বিকাশ মশান
দলের ভার্চুয়াল সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী। শুক্রবার দুর্গাপুরে আয়োজিত সভা থেকে মমতা নাম না করে বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে ভোট-মরসুমে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জিতেন্দ্রও।
এ দিন মমতা বলেন, ‘‘পাণ্ডবেশ্বরে আমাদের প্রার্থী নরেন (তৃণমূল প্রার্থী, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী) আছেন। ওখানে বিজেপির যিনি প্রার্থী আছেন, তিনি কোটি-কোটি টাকা খরচ করছেন। বলছেন, কোটি-কোটি টাকা আপনারা নিন, বিজেপিতে ভোট দিন।’’ এর পরেই ভোটারদের উদ্দেশে মমতার মন্তব্য, ‘‘আমি আপনাদের বলব, টাকা নিন। কিন্তু ভোট দেবেন না ওঁদের। এই কোটি-কোটি টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন? মানুষের কাজ করতে গিয়ে পকেট ভরেছেন।’’
ঘটনাচক্রে, প্রথমে রাজ্য সরকারের উপরে তোপ দেগে আসানসোল পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল ত্যাগ, পরে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন এবং শেষে বিজেপিতে যোগ দিয়ে পাণ্ডবেশ্বর থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হন জিতেন্দ্রবাবু। তৃণমূল প্রার্থী করেছে দলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। প্রার্থী ঘোষণার পরে থেকেই জিতেন্দ্রবাবু ও নরেন্দ্রবাবুর পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে ‘বিষোদগার’ করেছেন। দু’জনেই-দু’জনকে ‘মাফিয়া’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। উঠেছে হামলা-পাল্টা হামলা, মারধর-পাল্টা মারধরের মতো নানা অভিযোগ। এ দিন মমতার মন্তব্য জিতেন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের তোপে নতুন সংযোজন বলেই মনে করছে এলাকার রাজনৈতিক মহল।
এ দিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘দিদি আমাকে নিয়ে যা বলেছেন সবটাই আমার কাছে আশীর্বাদ। ২ মে ভোটে জেতার পরে আমি ওঁকে প্রণাম করতে যাব।’’