West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: ফিরহাদের ভিডিয়ো নিয়ে কমিশনে বিজেপি, তৃণমূল প্রার্থীকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল গেরুয়া শিবির

নির্বাচনী প্রচার থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে সরানোর দাবিতে বিজেপি-র। ফিরহাদ বলেন, ‘‘ভিডিয়োটি অসত্য। এ সব করেই বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চাইছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৪০
Share:

নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল বিজেপি। নির্বাচনী প্রচার থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে সরানোর দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হল বিজেপি-র প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত এবং শিশির বাজোরিয়া।

Advertisement

ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে ফিরহাদের একটি ভিডিয়ো ‘ফাঁস’ করে বিজেপি। ওই ভিডিয়ো-তে তৃণমূল প্রার্থীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে নানা অশালীন মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ। আনন্দবাজার ডিজিটাল যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়ো নিয়েই কমিশনে নালিশ করেন বিজেপি নেতারা। স্বপন বলেন, ‘‘সোমবার থেকে একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপি কর্মী, রেল পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি দিচ্ছেন। এটা হিংসাত্মক মন্তব্য। গণতন্ত্রে যা কাম্য নয়।’’

বিজেপি ওই ভিডিয়ো নিয়ে কমিশনে নালিশ করলেও তৃণমূল তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘ভিডিয়োটি অসত্য। এ সব করেই বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চাইছে।’’

Advertisement

বিজেপি নেতাদের অবশ্য দাবি, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাওয়ের কথা বলেছিলেন। তার পরই ১০ এপ্রিল শীতলখুচির ঘটনা ঘটে। ফিরহাদের মন্তব্যেও ওই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের মতে, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী, উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন। তার ফলেই শীতলখুচির ঘটনা ঘটেছিল। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের মন্তব্যে ওই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তাঁদের দাবি, ফিরহাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কমিশন। তারা শুধু ঘটনার তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে। বিজেপি ওই ভিডিয়ো নিয়ে কমিশনে নালিশ করলেও তৃণমূল অবশ্য তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement