পাণ্ডবেশ্বরে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
পায়ের আঘাত সামলে দু’-তিন দিনের মধ্যে কাজে ফিরতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কিছু দিন তাঁকে হুইলচেয়ারে ঘুরতে হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই প্রসঙ্গের সূত্র ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্পিরিট’কে ‘স্যালুট’ জানিয়েও বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। পাশাপাশি, অগ্নিমিত্রার আসানসোল দক্ষিণে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জল্পনাটিও তৈরি হয়েছে এ দিন।
শুক্রবার অগ্নিমিত্রা দুর্গাপুরের গোপালমাঠে পারিবারিক শিবমন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হুইল চেয়ারে প্রচারের প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, ‘‘তাঁর ‘স্পিরিট’কে আমি ‘স্যালুট’ জানাই।’’ এর পাশাপাশি, তাঁর সংযোজন: ‘‘উনি আমারও মুখ্যমন্ত্রী। ‘জ়েড প্লাস’ নিরাপত্তার মধ্যে কেউ যদি তাঁকে আক্রমণ করে থাকে, তা হলে তার তদন্ত হোক। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এটা নিছকই দুর্ঘটনা। কিন্তু উনি বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিলেন!’’ যদিও দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের ঘটনায় বিজেপিরই হাত রয়েছে।’’
দুর্গাপুর থেকে বেরিয়ে অগ্নিমিত্রা যান বার্নপুরে। সেখানে শিব মন্দিরে গিয়ে পূজার্চনায় যোগ দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘দল যদি আমাকে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করে তবে আমি সেই সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব।’’ ঘটনাচক্রে, এই কেন্দ্রে মহিলা মোর্চার এক রাজ্য নেত্রীর প্রার্থী হওয়ার জল্পনা কিছু দিন ধরেই রয়েছে আসানসোলে। সেই নেত্রী অগ্নিমিত্রাই কি না, তাঁর এই মন্তব্যের পরে সেই জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘উনি দলের সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মানবেন সকলে।’’
এ দিকে, নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ পরে এ দিনও বারাবনি ব্লকের আটটি ও সালানপুর ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েত এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তবে কোভিড ও আদর্শ নির্বাচন বিধি মেনে কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জানান বারাবনির তৃণমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়। এ দিন আসানসোলের গির্জামোড় থেকে পুরসভা লাগোয়া স্টেশন মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন তৃণমূলের কয়েকশো সদস্য-সমর্থক। মিছিলের নেতৃত্ব দেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অভিজিৎ ঘটক। যুব তৃণমূলের নেতৃত্বে মৌনী মিছিল হয় রানিগঞ্জেও। ছিলেন যুব নেতা ইমতিয়াজ খান।