মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।
তাঁর বক্তব্যের অপপ্রচার করা হচ্ছে। সোমবার জেলা নির্বাচন দফতরে শোকজের জবাব দেওয়ার পর এমনই অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। এ বারের নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সুশান্ত। তাঁর কথায়, “আমার বক্তব্যের অপপ্রচার করা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গেই রয়েছি আমি।” শোকজের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি সোমবার মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে শালবনির একটি গ্রামে গিয়ে তাঁকে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়। গত ৩ মার্চ শালবনির ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁকে হুঙ্কার দিতে শোনা গিয়েছিল, “মাওবাদীরা জানে সুশান্ত ঘোষ কে। তৃণমূল আর বিজেপি-র বাপ-ঠাকুর্দাও জানে। এত দিন যা করেছে করেছে। আমি ছিলাম না, তাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। এখন কারও গায়ে যদি হাত পড়ে সোজা গাঁয়ে যাব, যার ক্ষমতা হবে গায়ে হাত দেওয়ার সোজা ঘর থেকে তুলে নিয়ে এসে হাত-পা ভেঙে আমিই চিকিত্সা করাব।”
এই মন্তব্য নিয়ে হইচই হওয়ার পরই সুশান্ত দাবি করেছিলেন, তাঁর কথাকে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন, যে ভাবে সিপিএম কর্মীদের উপর অত্যাচার হয়েছে, তাতে তাঁরা আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত। তাঁদের আতঙ্ক কাটাতেই নাকি এই ধরনের দাওয়াই দিতে হয় নেতাদের। সুশান্তের মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরই শোকজ করা হয় তাঁকে। সোমবার সেই শোকজের জবাব দিতে নির্বাচন দফতরে হাজির হয়েছিলেন সুশান্ত।