অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেসের ‘প্রিয়দা’, প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির প্রাণের শহর কালিয়াগঞ্জ। ভোট প্রচারে সেখানে এসে প্রিয়-আবেগে ভাসলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। জনতার উদ্দেশে তাঁর আবেদন, আগে যে ভাবে প্রিয়দার জন্য ভোট দিয়েছেন, এ বারে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর জন্যও সে ভাবেই ভোট দিন।
শুক্রবার কালিয়াগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন অধীর। মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দিরের ময়দানে দুপুর দেড়টা নাগাদ শুরু হয় অধীরের সভা। সেখানেই প্রিয়রঞ্জনকে নিয়ে আবেগপ্রবণ অধীর বলেন, ‘‘আমি কালিয়াগঞ্জে, অথচ প্রিয়দা নেই, এটা ভাবতেই পারছি না।’’
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর প্রিয়রঞ্জনের মৃত্যুতে স্বেচ্ছায় বনধ পালন করেছিল এই কালিয়াগঞ্জ। প্রিয়রঞ্জনের প্রিয় শহরের উদ্দেশে অধীরের আর্জি ‘‘আপনারা প্রিয়দার জন্য যে ভাবে আগে ভোট দিতেন, এ বার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর জন্যও ভোট দিন।’’
গত লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য এই কালিয়াগঞ্জে বড় অঙ্কের ভোট পেয়ে এগিয়েছিল বিজেপি। প্রিয়রঞ্জনের এককালের লোকসভা কেন্দ্র রায়গঞ্জে বিজেপি জিতে যায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ভোটের অঙ্কের হিসেবে কালিয়াগঞ্জে তৃতীয় স্থানে ছিল বামফ্রন্ট এবং চতুর্থ কংগ্রেস। অধীর অবশ্য কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার ভোটারদের প্রিয়রঞ্জনকে স্মরণ করেই ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন।
জনসভা থেকে এ দিন তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন অধীর। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে হারছেন বলে দাবি করে অধীর বলেন, ‘‘হেরে যাবেন বুঝেই ভোটের দিন রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন মমতা। গণতন্ত্র রক্ষার দোহাই দিয়েছিলেন।’’ এ ব্যাপারে শুভেন্দু প্রসঙ্গে টেনে অধীরের মন্তব্য, ‘‘যে সেনাপতির সাহায্যে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্রকে নিজেই হত্যা করেছিলেন মমতা, সেই সেনাপতিই এখন বিজেপি-র হয়ে আপনার বিরুদ্ধে লড়ছে।’’ কার্যত বাংলায় বিজেপি-র বাড়বাড়ন্তের জন্য মমতাকেই দায়ী করেন অধীর। বিজেপিকে ঠেকাতে মমতা নিজেকে হিন্দু প্রমাণে উঠে প়ড়ে লেগেছেন বলেও মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, বিজেপি-র ‘আচ্ছে দিন’ স্লোগানের সমালোচনা করে অধীরের তোপ, ‘‘মানুষই বিচার করুক তাঁরা ভাল দিন দেখতে পাচ্ছেন কি না।’’