পঞ্চানন বর্মার মূর্তির নীচে অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের উপর হামলার পর দিনই আক্রান্ত হয়েছেন মাথাভাঙার তৃণমূল প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তার পর থেকেই উত্তপ্ত মাথাভাঙা। এই ঘটনার কথা ছড়াতে বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূলের সমর্থকরা মাথাভাঙা মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। শুক্রবার সকালে পঞ্চানন বর্মার মূর্তির নীচে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুলে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন তাঁরা। যদিও হামলার কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ করে মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের ঘোকসাডাঙা থেকে ফেরার পথে শিলডাঙা এলাকায় গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় গিরিন্দ্রনাথ মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে তাঁকে কোচবিহার এমজেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে তাঁর সিটি স্ক্যান করা হবে বলে চিকিৎসকদের থেকে জানা গিয়েছে। মাথাভাঙা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গিরীন্দ্রর মাথায় আঘাত লেগেছে। ১৪টি সেলাই পড়েছে। বুকেও ব্যথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানে তাঁরা ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার রায়সাহেব পঞ্চানন বর্মার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ঘটনার মূল পাণ্ডাদের গ্রেফতার করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ অবস্থান চলবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। পার্থপ্রতিম রায় এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা কমিশনের কাছে জবাব চাই যে, কেন বিজেপি এত আক্রমণাত্মক হচ্ছে? কেন বিজেপি-র এত দৌরাত্ম্য বাড়ছে?’’ যদিও মাথাভাঙার বিজেপি প্রার্থী সুশীল বর্মনের দাবি, ‘‘বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো ঘটনা।’’
অন্য দিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতেই ওই ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার কোচবিহার জেলার ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। তার আগে মাথাভাঙায় এমন ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।