হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের দুই কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের আমঝাড়ায় তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। একজনের শরীরে গুলির আঘাত ছিল। অন্য জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এই ঘটনায় বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও বিজেপি তা অস্বীকার করেছে। পুলিশও জানিয়েছে, পারিবারিক সংঘর্ষের জেরেই জখম হয়েছেন দু’জন।
রবিবারের ঘটনায় জখম দুই তৃণমূল সদস্য সম্পর্কে দুই ভাই। নাম অনুপ হালদার এবং তারক হালদার। তৃণমূলের অভিযোগ, আমঝাড়ায় তালদা হালদার পাড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় মিটিং শেষ করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। তখনই বিজেপি-আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীরা তাদের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। যদিও বারুইপুর জেলা পুলিশ পরে জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরেই গুলিবিদ্ধ হন অনুপ। জখম হন তারকও। দু’জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যদিও বাসন্তীর তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রাজা গাজি এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। এই ঘটনায় বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদেরই দায়ী করে তিনি বলেন, ঘটনাটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনকেও বলা হয়েছে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
বাসন্তী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রমেশ মাঝি অবশ্য জানান, পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নন। তৃণমূল রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে। ভোটেই মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে। আসলে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে এই কেন্দ্রে হেরে যাবে। তাই সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে তারা। পুলিশ প্রশাসনের উচিত নিরপক্ষে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এপ্রিল বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। তার আগে এলাকায় এ রকম গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।