ধৃত তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। সুজিত দুয়ারি
গ্রামের একটি বাড়িতে নির্বাচনী সভা করছিলেন সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে কয়েক জন সেখানে চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার বড় বামুনিয়া এলাকায়। সংযুক্ত মোর্চা নেতৃত্বের দাবি, মারধরের ঘটনায় তাঁদের চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের নাম, মণিরুল মণ্ডল, মহম্মদ মাহাবুল ইসলাম, শেখ আমিরুল এবং তামিম মণ্ডল। ঘটনার পর রাতেই আইএসএফ-সহ সংযুক্ত মোর্চার কর্মী সমর্থকেরা অশোকনগর থানায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। ভোর পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের শেখ ইনজামুন ওরফে রনি-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ আলামিন সাহাজি, শেখ সামিউল এবং শেখ সাকিব নামে তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার অশোকনগর কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রার্থী দিয়েছে আইএসফ। এ দিন রাতে বড় বামনিয়া এলাকার বাসিন্দা শেখ সিরাজউদ্দিনের বাড়িতে আইএসএফ-সহ সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা বৈঠক করছিলেন। সেখানেই রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ পঞ্চায়েত সদস্য রনি, শেখ সাকিব-সহ কয়েকজন চড়াও হয়। প্রহৃত মণিরুল বলেন, “তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি গেট খুলে বাইরে যেতেই ওরা গালিগালাজ দেয়। প্রতিবাদ করলে তর্কাতর্কি বেধে যায়। ঘরের মধ্যে থাকা আমাদের অন্য কর্মীরা চলে আসেন। তখন তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করে।” আলাদা দল তৈরি করায় পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আইএসএফ কর্মীদের দাবি, এর আগেও তৃণমূলের লোকজন তিনবার হামলা চালিয়েছে।
আইএসএফের অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সংযুক্ত মোর্চার বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ কর্মীরা একটি বাড়িতে বৈঠক করছিলেন। তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়, ইটপাটকেল ছোড়ে। বাড়ির মহিলারা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। পুলিশ গেলেও পুলিশের সামনেই ওরা নিগ্রহ করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে অশোকনগরের যুব তৃণমূল নেতা প্রদীপ সিংহ বলেন, “আইএসএফের লোকজন পাড়ায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছিলেন। গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করেন। পরে ওরা লোকজন নিয়ে এসে আমাদের লোকদেরই মারধর করেছে। পুলিশ এক তরফা ভাবে আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।”