Mamata Banerjee

Bengal Polls: ভরসা রাখুন, হুইল চেয়ারে বসে, ভাঙা পায়েই খেলা হবে, বার্তা তৃণমূলনেত্রীর

হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তায় প্রচারে নামার কথা ঘোষণা করেন মমতা। রবিবারের মিছিলে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার করেন তিনি। মেয়ো রোড থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের পর মমতা বলেন, ‘‘জীবনে অনেক আঘাত পেয়েছি, কিন্তু কখনও মাথা নোয়াইনি।চিকিৎসকদের ধন্যবাদ। তাঁরা বেড রেস্ট নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছবে কে? যারা আক্রান্ত তাঁদের ঠেকাবে কে? শরীরের যন্ত্রণার থেকে হৃদয়ের যন্ত্রণা অনেক বড়। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত চলছে। অশুভ শক্তির বিনাশ চাই।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমার উপর ভরসা রাখুন। হুইল চেয়ারে বসেই ভাঙা পায়ে ঘুরব।’’ রবিবার মিছিলে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে নেটমাধ্যমে বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১ ১৫:০৫
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর, প্রথম ভোট প্রচারে নেমে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মেয়ো রোড থেকে মিছিলের পর, হাজরার জনসভায় মমতা দাবি করেন, বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত হচ্ছে। তা ‘বিনাশ’ করার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। কর্মী-সমর্থকদের মাথা না নোয়ানোর বার্তাও দিয়েছেন মমতা।

Advertisement

মেয়ো রোড থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের পর মমতা বলেন, ‘‘জীবনে অনেক আঘাত পেয়েছি, কিন্তু কখনও মাথা নোয়াইনি।চিকিৎসকদের ধন্যবাদ। তাঁরা বেড রেস্ট নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছবে কে? যারা আক্রান্ত তাঁদের ঠেকাবে কে? শরীরের যন্ত্রণার থেকে হৃদয়ের যন্ত্রণা অনেক বড়। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত চলছে। অশুভ শক্তির বিনাশ চাই।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘আমার উপর ভরসা রাখুন। হুইল চেয়ারে বসেই ভাঙা পায়ে ঘুরব।’’

রবিবার মিছিলে যোগ দেওয়ার আগে তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে নেটমাধ্যমে বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি টুইট করেন, ‘সাহসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাব আমরা। এখনও অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি। কিন্তু মানুষের যন্ত্রণা আরও বেশি করে অনুভূত হচ্ছে। পবিত্র এই মাটিরক্ষার লড়াইয়েও কম যন্ত্রণা পোহাতে হয়নি আমাদের। আগামী দিনে আরও যন্ত্রণা সহ্য করতে রাজি। কিন্তু কাপুরুষদের সামনে কখনওই মাথা নোয়াব না’।

Advertisement

রবিবার পৌনে দু’টো নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে মেয়ো রোডে পৌঁছন মমতা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে বিশেষ ভাবে তৈরি নীল-সাদা হুইল চেয়ারে বসেই রওনা দেন গাঁধী মূর্তির উদ্দেশে। তাঁর পায়ে ছিল বিশেষ জুতো। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জোড়াফুল শিবিরের মিছিল। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ওই মিছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement