Mamata Banerjee

Bengal Polls: কলকাতার রাস্তায় অভিষেককে পাশে নিয়ে হুইল চেয়ারে বসে রোড শো মমতার

পৌনে দু’টো নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে মেয়ো রোডে পৌঁছন মমতা। হুইল চেয়ারে বসেই মিছিলে মমতা। মিছিল প্রায় ৫ কিলোমিটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১ ১৩:৩৬
Share:

হুইল চেয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামে আহত হওয়ায় সাময়িক ছেদ পড়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রচারে। কিন্তু রবিবার, ১৪ মার্চ সেই ‘নন্দীগ্রাম দিবস’কে সামনে রেখেই প্রচার শুরু করলেন মমতা। মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলে হুইল চেয়ারে বসেই নেতৃত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী।

Advertisement

রবিবার পৌনে দু’টো নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে মেয়ো রোডে পৌঁছন মমতা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে নীল-সাদা হুইল চেয়ারে বসেই রওনা দেন গাঁধী মূর্তির উদ্দেশে। এর পর সেখান থেকে মিছিলের সূচনা করেন তিনি। পায়ে বিশেষ জুতো পরে হুইল চেয়ারে বসেই মমতা যোগ দেন মিছিলে। মেয়ো রোড থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মিছিল।

মেয়ো রোডে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলনেত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই কাণ্ডের ধিক্কার জানাই।’’ এর পরই তাঁর স্লোগান, ‘‘ভাঙা পায়েই জেতা হবে, নবান্ন দখল হবে।’’ বিজেপি-কে বিঁধে অভিষেকের হুঙ্কার, ‘‘বহিরাগতদের বাংলায় কোনও জায়গা নেই। সিপিএম-বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমা ছাড়ব না।’’

Advertisement

রবিবার নন্দীগ্রামের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তাই মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। মিছিল ঘিরে থাকেন পুলিশ কর্মীরা। মিছিলের পথে বিভিন্ন জায়গা ঘিরে রাখা হয় গার্ডরেল দিয়ে। মিছিলে যোগ দেন দলের বহু কর্মী-সমর্থক। মিছিলে ছিলেন টালিগঞ্জের কলাকুশলীরাও।

মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস-সহ দলের সামনের সারির নেতানেত্রীরা। উপস্থিত কলকাতার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরাও। দিন কয়েক আগেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তায় দলের প্রচারের কাজে ফেরার আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। রবিবারই তিনি নামলেন ময়দানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement