ধনেখালির বিডিও অফিসের ভিতরে লকেট চট্টোপাধ্যায়।
হুগলির ধনেখালিতে বিডিও অফিসে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা জানতে শুক্রবার ধনেখালির বিডিওর সঙ্গে দেখা করেন লকেট। তবে বিডিও অফিসের ভিতরেই তৃণমূলের সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’, ‘লকেট চট্টোপাধ্যায় দূর হটো’ স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, ওই অফিসের বাইরে বোমাবাজিও চলে। এর জেরে সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়েন লকেট। পরে র্যাফ গার্ড দিয়ে বিডিও অফিস থেকে লকেট-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিজেপি-র অভিযোগ, বিডিও অফিসে আটকে পড়ার পর লকেট-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন বিডিও বিপ্লব চক্রবর্তী। লকেটদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এর পর হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়াকে ফোন করে পুলিশি সাহায্য চান লকেট। পুলিশ এসে র্যাফ গার্ড দিয়ে তাঁদের বার করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর লকেটের অভিযোগ, “তৃণমূল জিতেছে বলে জোরজুলুম, বাড়ি ভাঙচুর করছে। বিজেপি কর্মীদের মা-বোনেদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে বলে ধনেখালি ভিডিও অফিসে গিয়েছিলাম। তবে সেখানেও বোমাবাজি হয়েছে।”
রাজ্যের এক সাংসদই যদি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশ্ন তুলেছেন লকেট। তিনি বলেন, “ধনেখালির বিডিওকে সব জানিয়েছি। বহু মানুষ ঘরছাড়া। ভাঙচুরও হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটাই জানতে চাই আমরা।”
যদিও ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের দাবি, “শান্ত জায়গাকে অশান্ত করতে লকেট এসেছেন। উস্কানিমূলক কথাও বলছেন। ওঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ জানাব।”